নয়া দিল্লি: রাজধানীর আবগারি নীতি নিয়ে তদন্তে নামতেই বড়সড় তথ্য হাতে এল বড়সড় তথ্য। মদের দোকানের লাইসেন্স পাওয়ার জন্য দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী তথা আবগারি বিভাগের মন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া কোটি টাকা নিয়েছিলেন, এমনটাই দাবি সিবিআইয়ের। ইতিমধ্যেই সিবিআইয়ের তরফে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। ওই এফআইআরে মণীশ সিসোদিয়া সহ ১৫ জনের নাম রয়েছে। ১১ পাতার এফআইআরে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র ও ভুয়ো অ্যাকাউন্টের নথি দেখানোর অভিযোগ আনা হয়েছে।
শুক্রবারই সকালে দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে হাজির হন সিবিআই আধিকারিকরা। প্রায় ১৪ ঘণ্টা ধরে চলে তল্লাশি। বিকেলে সিবিআই সূত্রে জানা যায়, মণীশ সিসোদিয়ার বাড়ি থেকে কম্পিউটার, মোবাইল সহ বেশ কিছু ইলেকট্রনিক সামগ্রী ও প্রচুর আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত নথি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এফআইআরে মণীশ সিসোদিয়া ছাড়াও প্রাক্তন আবগারি কমিশনার এ গোপীকৃষ্ণ, ডেপুটি কমিশনার আনন্দ তিওয়ারি ও অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার পঙ্কজ ভাটনগরের নাম রয়েছে। সূত্রের খবর, মণীশ সিসোদিয়া যে কয়েক কোটি টাকা নিয়েছিলেন, তার প্রমাণ তদন্তকারী সংস্থার হাতে রয়েছে। তিনি তদন্তে সহযোগিতা না করলে, গ্রেফতার করা হতে পারে।
সিবিআইয়ের এফআইআর অনুযায়ী, কমপক্ষে দুটি আর্থিক লেনদেনের হদিস মিলেছে, যেখানে কোটি টাকা উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়ার ঘনিষ্ঠ সমীর মাহেন্দ্রুর সংস্থায় জমা দেওয়া হয়েছিল। এক ব্যবসায়ী মদের দোকানের লাইসেন্স পাওয়ার জন্য এই টাকা দিয়েছিলেন বলে জানা গিয়েছে। মদের দোকানের লাইসেন্স পাইয়ে দেওয়ার বদলে যে বিপুল অর্থের লেনদেন করা হত, তা সামলাতেন মণীশ সিসোদিয়ার ঘনিষ্ঠ সহকারী অমিত অরোরা, দীনেশ অরোরা ও অর্জুন পাণ্ডে। রাধা ইন্ডাস্ট্রিজ, যার মালিক দীনেশ অরোরা, সেখানে মাহেন্দ্রু ১ কোটি টাকা পাঠিয়েছিলেন। আরেক ঘনিষ্ঠ সহকারীও মাহেন্দ্রুর কাছ থেকে ২ থেকে ৪ কোটি টাকা পেয়েছিল। এই টাকার বদলে বেসরকারি দোকানগুলিকেও এল-১ লাইসেন্স দেওয়া হত, যা আদতে হোলসেল সাপ্লাইয়ের জন্য দেওয়া হয়।