নয়া দিল্লি: মঙ্গলবারের সকালেই দেশের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী তথা কংগ্রেসের (Congress) সিনিয়র নেতা পি চিদম্বরমের (P Chidambaram) সঙ্গে যুক্ত একাধিক বাড়িতে অভিযান চালিয়েছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই। চিদম্বরম পুত্র তথা শিবগঙ্গার কংগ্রেস সাংসদ কার্তি চিদম্বরমের (Karti Chidambaram) বিরুদ্ধে নতুন দুর্নীতি মামলায় সিবিআই এই তদন্ত অভিযান চালিয়েছে বলেই জানা গিয়েছে। সিবিআই এই দুর্নীতি মামলায় চিদম্বরমের বাড়িতে অভিযান চালাতেই সকালেই পাশে থাকার বার্তা দিয়েছিল কংগ্রেস নেতৃত্ব। এবার সিবিআই অভিযান নিয়ে মুখ খুললেন কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ পি চিদম্বরম। প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী দাবি তাঁর বাড়িতে অভিযান চালানোর আগে সিবিআই তাদের একটি এফআইআরের কপি দেখিয়েছিল, যাতে অভিযুক্তের নামের কোনও উল্লেখ ছিল না। টুইটে সিনিয়র কংগ্রেস নেতা বলেন, “আজ সকালে সিবিআইয়ের একটি দল আমার চেন্নাইয়ের বাড়ি এবং দিল্লির সরকারি বাসভবনে অভিযান চালিয়েছিল। তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা আমাকে এফআইআরের একটি কপি দেখিয়েছিল, কিন্তু সেখানে কোনও অভিযুক্তের নাম ছিল না। তদন্তকারী দল কোনও কিছুই খুঁজে পায়নি, এমনকী তারা কোনও কিছুই বাজেয়াপ্ত করেনি। আমি নির্দিষ্ট করে বলতে চাই অভিযানের সময়টা ভীষণ আগ্রহজনক।”
This morning, a CBI team searched my residence at Chennai and my official residence at Delhi. The team showed me a FIR in which I am not named as an accused.
The search team found nothing and seized nothing.
I may point out that the timing of the search is interesting.
— P. Chidambaram (@PChidambaram_IN) May 17, 2022
সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, সিবিআইয়ের হাতে থাকা এফআইআর রিপোর্টে উল্লেখ করা রয়েছে কার্তি চিদম্বরম ৫০ লক্ষ টাকা ঘুষ নিয়েছেন এবং সেই টাকা তাঁরই একটি সংস্থার কাছে পাঠানো হয়েছে। CBI raidচিনা কোম্পানিতে কর্মরত চিনের নাগরিকদের ভিসা পেতে সাহায্য করার বিনিময়ে কার্তি ওই টাকা ঘুষ হিসেবে দেওয়া হয়েছিল বলেই অভিযোগ তদন্তকারী সংস্থার। এক সিবিআই আধিকারিক জানিয়েছেন, “পঞ্জাবে একটি পাওয়ার প্রোজেক্ট নির্মাণের জন্য চিনা সংস্থার সঙ্গে চুক্তি হয়েছে। সংস্থাটি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের নির্ধারিত সীমা ছাড়িয়ে বেশ কিছু নাগরিককে ভারতে আনতে চেয়েছিল। ২০১১ সালে তাদের থেকে ৫০ লক্ষ টাকা ঘুষ নিয়ে দেশে আসতে সাহায্য করেছিলেন কার্তি।” সিবিআই জানিয়েছে, আইএনএক্স মিডিয়া মামলায় ইডি যখন টাকা পাচারের তদন্ত করছিল, সেই সময় তাদের হাতে এমন নথি আসে, সেখানে থেকে এই নতুন ঘটনার কথাটি জানা গিয়েছিল। তারাই ঘটনার কথা সিবিআইকে জানায়।