নয়া দিল্লি: ১৮৮১ সাল থেকে প্রতি দশ বছর অন্তর জনগণনা হয় ভারতে। ২০২১ সালেও জনগণনা হওয়ার কথা ছিল। তার জন্য তথ্য সংগ্রহের কাজ ২০২০-র ১ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু কোভিড -১৯ মহামারী সেই পরিকল্পনায় জল ঢেলে দিয়েছিল। তারপর থেকে ৪ বছর কেটে গেলেও, এখনও সেই জনগণনার কাজ শুরু করা যায়নি। তবে, এবার শিগগিরই সেই কাজ শুরু হতে চলেছে। রবিবার (১৫ সেপ্টেম্বর), সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে এক সরকারি সূত্র জানিয়েছে, ইতিমধ্যেই জনগণনা পরিচালনার জন্য প্রস্তুতি শুরু করেছে মোদী সরকার। তবে, কংগ্রেস ও অন্যান্য বেশ কয়েকটি বিরোধী দল বারবার যে জাতিভিত্তিক জনগণনার দাবি জানাচ্ছে, তা শেষ পর্যন্ত করা হবে কিনা, সেই বিষয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি মোদী সরকার। সরকারি সূত্রটি জানিয়েছে, জনগণনার তথ্য সংগ্রহের ফর্মে জাতির কলাম অন্তর্ভুক্ত করা হবে কিনা, সেই বিষয়ে সিদ্ধান্ত এখনও ঝুলে আছে।
দীর্ঘিন ধরেই ২০২১-এর জনগণনার তথ্যের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে আছে দেশের মানুষ। গত বছরই মহিলা সংরক্ষণ আইন কার্যকর করা হয়েছে। তার শতাংশের হিসেবের জন্য জনগণনা প্রয়োজন। এছাড়া, সর্বশেষ জনসংখ্যার পরিসংখ্যান নেই বলে আপাতত, মোদী সরকার বিভিন্ন নীতিই প্রণয়ন হচ্ছে ২০১১ সালের জনগণনার তথ্যের ভিত্তিতে। ভর্তুকিও বরাদ্দ করা হচ্ছে ওই পুরোনো তথ্য অনুযায়ী।
জানা গিয়েছে, সম্পূর্ণ জনগণনা এবং জাতীয় জনসংখ্যা নিবন্ধন বা এনপিআর আপডেট করার জন্য আনুমানিক ১২,০০০ কোটি টাকা খরচ হবে। এইবারই প্রথম ডিজিটাল পদ্ধতিতে জনগণনা করা হবে। এর ফলে নাগরিকরা নিজেরাই নিজেদের তথ্য দিতে পারবেন। সরকারী গণনাকারীদের মাধ্যমে তথ্য না দিয়ে, যারা নিজেরাই জনগণনার ফর্ম পূরণ করতে চান, তাদের জন্য এনপিআর বাধ্যতামূলক হবে।