AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

অনুপস্থিতির কারণ জানতে চেয়ে সোজা আলাপনকে চিঠি কেন্দ্রের, ক্ষোভে ফেটে পড়লেন মমতা

নির্দেশ আসা সত্ত্বেও তিনি কেন হাজিরা দিলেন না সেই কারণ জানতে চেয়ে এই শোকজ করা হয়েছে বলে খবর সূত্রের।

অনুপস্থিতির কারণ জানতে চেয়ে সোজা আলাপনকে চিঠি কেন্দ্রের, ক্ষোভে ফেটে পড়লেন মমতা
ফাইল চিত্র।
| Updated on: Jun 01, 2021 | 12:16 AM
Share

কলকাতা: নির্ধারিত সময় দিল্লিতে যোগ না দেওয়ায় রাজ্যের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে এ বার শো-কজ করল কেন্দ্র। নর্থ ব্লকে অনুপস্থিত থাকা আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে কেন্দ্রের কর্মীবর্গ দফতরের পক্ষ থেকে এই চিঠি দেওয়া হয়েছে। নির্দেশ আসা সত্ত্বেও তিনি কেন হাজিরা দিলেন না সেই কারণ জানতে চেয়ে এই শোকজ করা হয়েছে বলে খবর সূত্রের। শো-কজের উত্তর পেলে পরবর্তী পদক্ষেপ করা হতে পারে। আরও খবর, তাঁকে অবিলম্বে কাজে যোগ দিতে বলা হয়েছে।

কেন্দ্রের এই চিঠির পরই ফের একবার সাংবাদিক বৈঠকে বসে কার্যত ক্ষোভে ফেটে পড়েন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সাংবাদিক বৈঠক করে তিনি বলেন, “গত ৭৪ বছরে ভারতে এই ধরনের কোনও ঘটনা ঘটেনি।” এই চিঠি বাংলা কোভিড এবং ঘূর্ণিঝড় ক্ষতে নুন ছেটানোর মতো বলেও উল্লেখ করেন মমতা। শুধুমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরোধিতা করতে এবং বাংলায় হারের প্রতিশোধ মেটাতেই কি কেন্দ্র এই ধরনের পদক্ষেপ করছে, প্রশ্ন তুলে দেন রাগে অগ্নিশর্মা মুখ্যমন্ত্রী। মমতার কথায়, “এটা অত্যন্ত লজ্জাজনক ঘটনা। কী কারণে মুখ্যসচিবকে কেন্দ্রে যোগ দিতে বলা হচ্ছ , চিঠিতে সেই কথাও উল্লেখ করা হয়নি। প্রতিশোধমূলক আচরণ। এত নির্দয়, এত নির্মম প্রধানমন্ত্রী আমি আগে কখনও দেখিনি।”

অবসরের সময় আলাপনকে কার্যত প্রশংসায় ভরিয়ে দেন মমতা। তিনি বলেন, “উনি অবসর নিলেও আমার মনে হয় ওনার সেই সাহস এবং সততা রয়েছে। তাঁর সেই দায়িত্ববোধ রয়েছে। তাঁর নাম ইতিহাসে লেখা থাকবে একজন আমলাকে কীভাবে রাজনীতির শিকার হতে হয়েছে।” আজকের পদক্ষেপের পর কেন্দ্র যদি চায়ও , তা সত্ত্বেও কোনও ভিত্তিতেই আলাপনের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে পারবে না। রাজনৈতিক মহলের স্পষ্ট কথা, এই পদক্ষেপের মাধ্যমে মমতা একদিকে যেমন কেন্দ্রের নিয়ন্ত্রণ থেকে বের করে আনতে পারলেন। একই সঙ্গে আলাপনকে নিজের কাছেও ধরে রাখতে পারলেন। যেভাবে আলাপন এতদিন কাজ করে এসেছিলেন, সেভাবেই মুখ্যমন্ত্রীর পাশে থেকে কাজ করতে পারবে। শুধুমাত্র তাঁর পদটাই বদলে গেল।

আজকের ঘটনা রাজনৈতিকভাবে কতটা তাৎপর্যপূর্ণ তা বলার অপেক্ষা রাখে না। গত ২৪ মে চিঠি দিয়ে মুখ্যসচিবের মেয়াদ বৃদ্ধিতে কেন্দ্র সিলমোহর দেওয়ার পরও যেভাবে প্রধানমন্ত্রীর ইয়াস পরবর্তী রিভিউ বৈঠকের দিন রাতেই তাঁকে চিঠি দিয়ে ৩০ মে তাঁকে দিল্লিতে ঢেকে পাঠানো হয়, তা এককথায় ছিল নজিরবিহীন। তারপর থেকেই চাপানউতোর চলছিল। এ দিন আলাপন দিল্লিতে কাজে যোগ না দিলে ফের একবার কেন্দ্রের তরফে চিঠি দেওয়া হয়। তারপরই রাজ্যের মুখ্যসচিব সিদ্ধান্ত নেন, তিনি ৩ মাসের বৃদ্ধি নেবেন না। আজ তাঁর অবসর নেওয়ার কথা ছিল, সে দিনই অবসর নিয়ে ফেলবেন তিনি। ফলে কেন্দ্র ও রাজ্যের এই  রাজনৈতিক দড়ি টানাটানির শেষটা মুখ্যসচিবের জন্য সম্মানজনকভাবেই হল।