নয়া দিল্লি: বিভিন্ন ক্ষেত্রে মূল্যবৃদ্ধির খবরের মাঝেও কিছুটা স্বস্তি দিতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকারের নয়া সিদ্ধান্ত। এবার থেকে আর পেঁয়াজের দাম নিয়ে চিন্তা করতে হবে না, এমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে যাতে যথেষ্ট পেঁয়াজের জোগান থাকে, সেই ব্যবস্থাই করা হচ্ছে। অন্তত ২.৫ লক্ষ টন পেঁয়াজ মজুত রাখা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। এত বেশি পরিমাণ পেঁয়াজ মজুত করার নজির আর নেই। এবারই প্রথম এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, বছরের উৎসবের দিনগুলোতে যখন চাহিদা বেশি থাকে, তখন ওই পেঁয়াজ বাজারে ছাড়া হবে।
Zee News -এ প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী, চলতি বছরের অগস্ট থেকে ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত পেঁয়াজের উৎপাদন কম থাকবে। সেই পরিস্থিতিতে পেঁয়াজ মজুত থাকলে উপকৃত হবেন দেশের মানুষ। দেশ জুড়ে পেট্রোল, গ্যাস থেকে সবজি, সব ক্ষেত্রেই মূল্যবৃদ্ধির অভিযোগ উঠেছে। সেই আবহে পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে এটা কেন্দ্রের একটা গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। ক্রেতাসুরক্ষা মন্ত্রকের তরফে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
প্রতিদিন সাধারণ মানুষের পাতে যে সব সবজি প্রয়োজন হয়, তার মধ্য়ে অন্যতম পেঁয়াজ। প্রতি বছর অক্টোবরে পেঁয়াজ চাষ হয়, আর সেটা উৎপাদন হয় এপ্রিল থেকে জুন মাসের মধ্যে। এরপর সরকার সেই পেঁয়াজ কৃষকদের থেকে কিনে নেয় ও মজুত করে। সেই কারণেই বর্ষাকালেও পেঁয়াজ পেতে কোনও অসুবিধা হয় না। মূলত গুজরাট, মহারাষ্ট্র ও মধ্য প্রদেশে উৎপন্ন হয় পেঁয়াজ।
তথ্য বলছে, সাধারণত প্রতি বছর সেপ্টেম্বরের শেষের দিকে পেঁয়াজের দাম বেড়ে যায়, কারণ ওই সময়ে আগের মজুত থাকা পেঁয়াজ ফুরিয়ে আসে। আবার নতুন করে বাজারে পেঁয়াজ আসে জানুয়ারি মাসে। তাই এবার অনেক বেশি পরিমাণ পেঁয়াজ মজুত করা হচ্ছে। আর পেঁয়াজ মজুত করার ক্ষেত্রে বিশেষ ব্যবস্থা নিতে হয়, কারণ সঠিকভাবে সংরক্ষণ না হলে পেঁয়াজ পেকে যাওয়ার বা পেঁয়াজ থেকে কাণ্ড বেরিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।