নয়া দিল্লি: কমার নাম নেই, বছর বছর বেড়েই চলেছে তেলের দাম (Fuel Price)। আর তেলের দাম বাড়তেই সমস্যায় পড়ছেন মধ্যবিত্ত-নিম্নবিত্তরা। তেলের দাম বৃদ্ধি মানে তো শুধু জ্বালানিরই মূল্যবৃদ্ধি নয়, খাদ্যপণ্য থেকে অত্যাবশ্যকীয় সামগ্রী-সবকিছুরই দাম বাড়ে। তবে একটা সুখবর রয়েছে। কমতে পারে তেলের দাম। তাও আবার বাংলার দৌলতেই। বিষয়টা কী বুঝতে পারছেন না? খোলসা করেই বলা যাক তাহলে-
উত্তর ২৪ পরগনার অশোকনগরে তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাসের খোঁজ পেয়েছে ওএনজিসি(ONGC)। শুরু হয়েছে মাপজোক-সমীক্ষা। মনে করা হচ্ছে, আগামী বছরের মাঝামাঝি সময় থেকে এই খনি থেকে বাণিজ্যিকভাবে তেল উত্তোলন শুরু করা যাবে। তবে তার আগেই দেশে আরও একটা তেলের খনির খোঁজ মিলল।
তেল যে আছে সেটা আগেই বোঝা গিয়েছিল। ২০১৬ সাল থেকেই খোঁজাখুঁজি শুরু হয়েছিল, কিন্তু কোভিডের কারণে সেই কাজ আটকে যায়। এইবার কুয়ো খুঁড়ে তেল উত্তোলনও শুরু করে দিল ওএনজিসি। তেলের এই নয়া ভাণ্ডারের খোঁজ মিলেছে কৃষ্ণা-গোদাবরী বেসিনে। অন্ধ্র প্রদেশের কাকিনাড়া থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে গভীর সমুদ্রে। গত ৮ জানুয়ারি থেকে এই কুয়ো থেকে তেল উত্তোলন শুরু হয়েছে। পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরী জানিয়েছেন, এই “ডিপ সি অয়েল ফিল্ডে” তেলের সঙ্গে প্রাকৃতিক গ্যাসও রয়েছে।
ওএনজিসি সূত্রে জানা গিয়েছে, কৃষ্ণা-গোদাবরী বেসিনে মোট ২৬টি কুয়ো খোঁড়া হবে। প্রাথমিক স্তরে ৪টি কুয়ো থেকে তেল উত্তোলন করা হচ্ছে। আগামী মে-জুন মাস নাগাদ পুরোদমে কাজ শুরু হয়ে গেলে প্রতিদিন ৪৫ হাজার ব্যারেল করে
তেল উত্তোলন করা সম্ভব হবে।
অনুমান করা হচ্ছে, দেশে যত অপরিশোধিত তেলের উত্পাদন হয়, তার মধ্যে ৭ শতাংশই আসবে কাকিনাড়ার এই নতুন ডিপ সি অয়েল ফিল্ড থেকে। ফলে বিদেশ থেকে তেল আমদানি অনেকটাই কমবে। সেই হিসাবে জ্বালানি তেলের দামও কমবে।
বিশ্ব বাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম এমনিই নিম্নমুখী। তার উপর দেশের অন্দরেই নতুন তেলের খনিতে কাজও শুরু হয়ে গেল। পেট্রোল-ডিজেলের দাম এবার কমবে কি না, তাই-ই প্রশ্ন।