COVID 19: মাস্ক ভুললে চলবে না, চিন-ইউরোপে করোনার নতুন ঢেউয়ে সাবধানী কেন্দ্র
Union Health Ministry: নতুন ভ্যারিয়েন্টগুলিকে যাতে সময়মতো শনাক্ত করা যায়, তা নিশ্চিত করতে পর্যাপ্ত নমুনা পরীক্ষা এবং করোনা টিকা নেওয়ার জন্য সাধারণ মানুষদের উদ্বুদ্ধ করতেও জোর দিতে বলা হয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিবের চিঠিতে।
নয়া দিল্লি: ফের চোখ রাঙাচ্ছে করোনা (COVID 19)। ভারতে পরিস্থিতির কোনও অবনতি না হলেও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং ইউরোপের বেশ কিছু এলাকায় কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা পুনরায় বাড়তে শুরু করেছে। এই পরিস্থিতিতে সজাগ কেন্দ্রীয় সরকার। বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের (Union Health Ministry) তরফে সব রাজ্যগুলিকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়েছে, মাস্কের ব্যবহার ভুললে চলবে না। সেই সঙ্গে করোনার নতুন কোনও ঢেউ যাতে না এসে পড়ে, তার জন্য রাজ্যগুলিকে পাঁচটি কৌশলের উপর জোর দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। করোনা পরীক্ষা, ট্র্যাকিং, চিকিৎসা, কোভিড বিধি মেনে চলা এবং টিকাকরণ। মূলত এই পাঁচটি বিষয়ের উপর গুরুত্ব কমালে চলবে না, সে কথা মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছে রাজ্যগুলিকে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূষণ (Union Health Secretary Rajesh Bhushan) দেশের সব রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিতে পাঠানো তাঁর চিঠিতে এমনটাই বলেছেন।
নতুন ভ্যারিয়েন্টগুলিকে যাতে সময়মতো শনাক্ত করা যায়, তা নিশ্চিত করতে পর্যাপ্ত নমুনা পরীক্ষা এবং করোনা টিকা নেওয়ার জন্য সাধারণ মানুষদের উদ্বুদ্ধ করতেও জোর দিতে বলা হয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিবের চিঠিতে। রাজ্যগুলিকে পাঠানো চিঠিতে রাজেশ ভূষণ লিখেছেন, “রাজ্যগুলিকে নিশ্চিত করতে হবে যে ন্যাশনাল সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল (এনসিডিসি) দ্বারা জারি করা প্রোটোকল অনুযায়ী সেন্টিনেল সাইটগুলির মাধ্যমে ইনসাকগ নেটওয়ার্কে পর্যাপ্ত সংখ্যক নমুনা জমা দেওয়া হয়েছে। করোনার কোনও নতুন ভ্যারিয়েন্টকে সময়মতো শনাক্ত করা নিশ্চিত করতে৷ আইসিএমআর দ্বারা নির্ধারিত পরীক্ষার জন্য প্রোটোকল অনুযায়ী পর্যাপ্ত পরীক্ষা করতে হবে। নতুন সংক্রমণের ঘটনাগুলির উপর নজরদারি রাখতে হবে। নিয়ম অনুযায়ী পরীক্ষা করা এবং ILI এবং SARI সংক্রমণগুলির উপর নজরদারি অব্যাহত রাখতে হবে, যাতে আগাম প্রস্তুত থাকা যায় এবং সংক্রমণের বিস্তার নিয়ন্ত্রণ করা যায়।”
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং ইউরোপের কিছু দেশ জুড়ে করোনার সংক্রমণ বাড়তে থাকায় ১৬ মার্চ কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মান্ডব্যর সভাপতিত্বে একটি উচ্চ-পর্যায়ের বৈঠক হয়েছিল। ওই বৈঠকে রাজ্যগুলিকে আরও বেশি করে জিনোম সিকোয়েন্সিং, নিবিড় নজরদারি এবং সামগ্রিক সতর্কতার দিকে জোর দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। ভারতে বর্তমানে করোনার সংক্রমণ অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। আক্রান্তের সংখ্যা প্রতিদিন কমছে। দৈনিক সংক্রমণ এখন পাঁচ হাজারেরও নীচে। শুক্রবার সকালে, দেশে নতুন করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছিল আড়াই হাজারের কিছু বেশি। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যা ২৯ হাজার ১৮১ তে নেমে এসেছে । প্রায় ৬৮৫ দিন পরে দেশে সক্রিয় সংক্রমণ ৩০ হাজারের নীচে।
আরও পড়ুন : Cyclone Asani: ১৩২ বছরে এমন ঘটনা ঘটেনি আন্দামানে, জারি হল কড়া সতর্কবার্তা