নয়া দিল্লি: চরম অস্থির পরিস্থিতি শ্রীলঙ্কায়। আর্থিক সঙ্কটের জেরে চরম অরাজকতা শুরু হয়েছে প্রতিবেশী দ্বীপরাষ্ট্রে। বিগত ১০০ দিন ধরে কার্যত অন্ধকারে ডুবে রয়েছে সেই দেশ। দেশবাসীকে বিপদের মুখে ফেলে শ্রীলঙ্কা ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছেন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি গোতাবায়া রাজাপক্ষে। এই পরিস্থিতিতে প্রতিবেশী দেশ হিসাবে কী করা উচিত ভারতের, তা স্থির করতেই আগামী মঙ্গলবার সর্বদলীয় বৈঠকের ডাক দেওয়া হল কেন্দ্রের তরফে। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন ও বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর রবিবার রাতে এই ঘোষণা করেন। জানা গিয়েছে, শ্রীলঙ্কা সঙ্কট শুরু হওয়ার পর থেকে তামিলনাড়ুর বিভিন্ন রাজনৈত্ক দলের তরফেই প্রতিবেশী দেশকে সাহায্যের আর্জি জানানো হয়েছিল। সেই প্রস্তাব কতটা পূরণ সম্ভব, তা স্থির করতেই সর্বদলীয় বৈঠকের ডাক দেওয়া হয়েছে।
গতকালই সংসদের আসন্ন বাদল অধিবেশন নিয়ে সর্বদলীয় বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানেই তামিলনাড়ুর শাসক ও প্রধান বিরোধী দল ডিএমকে ও এআইএডিএমকে শ্রীলঙ্কার কঠিন পরিস্থিতিতে কেন্দ্রের হস্তক্ষেপ ও সহযোগিতার দাবি জানান। সূত্রের খবর, দুই দলের তরফেই দাবি জানানো হয়েছে, বিশেষ করে শ্রীলঙ্কায় যে তামিল বসবাসকারীরা রয়েছেন, তাদের যেন সাহায্য করা হয়।
যদিও সঙ্কটের শুরু থেকেই শ্রীলঙ্কার পাশে রয়েছে ভারত। ক্রে়ডিট লাইনের অধীনে দফায় দফায় জ্বালানি ও খাদ্যশস্য সরবরাহ করা হয়েছে শ্রীলঙ্কায়। গত সপ্তাহেও সে দেশে শান্তি বজায় রাখার জন্য আর্জি জানানো হয়। ভারত গণতন্ত্রে বিশ্বাসী এবং শ্রীলঙ্কাও শান্তি বজায় রেখে গণতান্ত্কিক প্রক্রিয়ায় যাতে অগ্রসর হয়, সেই আর্জি জানানো হয় কেন্দ্রের তরফে।
গতকাল কেন্দ্রের তরফে প্রকাশিত বিবৃতিতে শ্রীলঙ্কার চরম আর্থিক সঙ্কট ও আগের সাহায্যগুলির কথা উল্লেখ করে কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়, ভারত যে প্রতিবেশী পরায়ণ নীতি অনুসরণ করে চলে, তাতে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ স্থান রয়েছে শ্রীলঙ্কার জন্য। ভারতই শ্রীলঙ্কার সবথেকে কাছের প্রতিবেশী দেশ এবং দুই দেশের মধ্যে গভীর সম্পর্কের কথা মাথায় রেখেই শ্রীলঙ্কার কঠিনতম পরিস্থিতিতে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে চায় কেন্দ্র। সেই কারণেই সর্বদলীয় বৈঠক ডাকা হচ্ছে।