PM Narendra Modi: ৪ হাজার বছরের পুরনো সভ্যতার ‘স্বাদ’, ভারতেই পেতে চলেছেন পর্যটকরা
PM Narendra Modi: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী লিখেছেন, লোথালে ন্যাশনাল মেরিটাইম হেরিটেজ কমপ্লেক্সের (এনএমএইচসি) উন্নয়নে সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। হেরিটেজ কমপ্লেক্সে প্রাচীন সেই সভ্যতার স্বাদ পাবেন পর্যটকরা। কমপ্লেক্সে মাঝে থাকবে একটি বাতিঘর মিউজিয়াম। যার উচ্চতা হবে ৭৭ মিটার।
নয়াদিল্লি: ৪ হাজার বছর আগে কেমন ছিল সভ্যতা? ঐতিহাসিকরা নিরন্তর তার খোঁজ করে চলেছেন। একজন পর্যটক হিসেবে যদি তার ‘স্বাদ’ পান, তবে কেমন হবে? পর্যটকদের সেই ‘স্বাদ’ দিতেই নতুন পদক্ষেপ মোদী সরকারের। গুজরাটের লোথালে ‘ন্য়াশনাল মেরিটাইম হেরিটেজ কমপ্লেক্স’ গড়ার অনুমোদন দিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। এর ফলে পর্যটন অর্থনীতি আরও গতি পাবে বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এক্স হ্যান্ডলে তিনি তাঁর লিঙ্কডইনের একটি পোস্টের লিঙ্ক শেয়ার করেছেন। সেখানে প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তে সংস্কৃতি ও পর্যটনের দুনিয়ায় নতুন দিগন্ত খুলে যাবে।
লোথাল প্রাচীন সিন্ধু সভ্যতার দক্ষিণের স্থানগুলির একটি ছিল। বর্তমান গুজরাটের ভাল অঞ্চলে অবস্থিত। ২২০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে শহরটির নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছিল। ফলে প্রায় ৪০০০ বছরের পুরনো ইতিহাস বহন করছে লোথাল। আর এই লোথালেই পুরনো সেই ইতিহাস তুলে ধরার চেষ্টা করছে কেন্দ্র।
প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, লোথালে ন্যাশনাল মেরিটাইম হেরিটেজ কমপ্লেক্সের (এনএমএইচসি) উন্নয়নে সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। হেরিটেজ কমপ্লেক্সে প্রাচীন সেই সভ্যতার স্বাদ পাবেন পর্যটকরা। কমপ্লেক্সে মাঝে থাকবে একটি বাতিঘর মিউজিয়াম। যার উচ্চতা হবে ৭৭ মিটার। বাতিঘর মিউজিয়াম তৈরির জন্য খরচ হবে ২৬৬.১১ কোটি টাকা।
Recently, the Union Cabinet took a very interesting decision – of developing a National Maritime Heritage Complex in Lothal. Such a concept will create new opportunities in the world of culture and tourism. India invites more participation in the culture and tourism sectors. Here…
— Narendra Modi (@narendramodi) October 15, 2024
স্বাধীনতার পর ভারতের একাধিক ঐতিহাসিক স্থান রক্ষণাবেক্ষণে পদক্ষেপ না করা নিয়েও খেদ প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী। অবহেলার জেরে ঐতিহাসিক স্থানের গুরুত্ব হারিয়েছে। তবে গত ১০ বছরে এর পরিবর্তন হয়েছে বলে তিনি মন্তব্য করেন। প্রধানমন্ত্রী জানান, এই প্রকল্পে ১৫ হাজার প্রত্যক্ষ কর্মসংস্থান হবে। আর ৭ হাজার অপ্রত্যক্ষ কর্মসংস্থান হবে। একাধিক দফায় এই হেরিটেজ কমপ্লেক্সের কাজ শেষ হবে। এই প্রকল্পের ফলে পর্যটন ক্ষেত্রে ভারতের আর্থিক বিকাশ ঘটবে বলে প্রধানমন্ত্রী জানান।