Scrap Selling: চন্দ্রযান-৩-র টাকা উঠে এল শুধু স্ক্র্যাপ বিক্রি করেই! ৮০০ কোটি ঢুকল সরকারের ঘরে
Chandrayaan-3 Budget: ২০২১ সাল থেকে শুরু হওয়া এই সাফাই অভিযানে স্ক্র্যাপ বিক্রি করে এখনও পর্যন্ত সরকারের আয় হয়েছে ৪১০০ কোটি টাকা। চলতি বছরে ২ অক্টোবর থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত সাফাই অভিযান চালানো হয়েছিল। বিভিন্ন অফিসে যে পুরনো যন্ত্রাংশ পড়ে থাকে, তার প্রায় ২৩২ লাখ স্কোয়ার ফুট ফাঁকা করা হয়েছে।

নয়া দিল্লি: সাফাই অভিযানে নেমে নজির গড়ল মোদী সরকার। শুধুমাত্র স্ক্র্যাপ বা ভাঙাচোরা জিনিস বিক্রি করে আয় করল ৮০০ কোটি টাকা, যা চাঁদের বুকে অবতরণ করা চন্দ্রযান-৩ এর বাজেটের থেকেও বেশি। চন্দ্রযান-৩ পাঠাতে যেখানে কেন্দ্রীয় সরকারের খরচ হয়েছিল ৬১৫ কোটি টাকা, সেখানেই স্ক্র্যাপ বিক্রি করে সরকারের আয় হয়েছে ৮০০ কোটি টাকা।
জানা গিয়েছে, ২০২১ সাল থেকে শুরু হওয়া এই সাফাই অভিযানে স্ক্র্যাপ বিক্রি করে এখনও পর্যন্ত সরকারের আয় হয়েছে ৪১০০ কোটি টাকা। চলতি বছরে ২ অক্টোবর থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত সাফাই অভিযান চালানো হয়েছিল। বিভিন্ন অফিসে যে পুরনো যন্ত্রাংশ পড়ে থাকে, তার প্রায় ২৩২ লাখ স্কোয়ার ফুট ফাঁকা করা হয়েছে। প্রায় ১১,৫৮ লক্ষ অফিস থেকে এই সাফাইকাজ করা হয়েছে এবং স্ক্র্যাপ বিক্রি করা হয়েছে।
রিফর্ম অ্য়ান্ড পাবলিক গ্রিভেন্স ডিপার্টমেন্টের অধীনে ৮৪টি মন্ত্রক ও দফতরের মিলিত উদ্যোগে এই প্রচেষ্টা সফল হয়েছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য, কে রাম মোহন নাইডু ও ডঃ জীতেন্দ্র সিং গোটা প্রক্রিয়ায় নজরদারি করেছেন।
উল্লেখ্য, ২০২১ থেকে ২০২৫ সালের মধ্যে কেন্দ্রীয় সরকার পাঁচটি স্বচ্ছতা অভিযান পরিচালিত করেছে। এই অভিযানের অধীনে ২৩.৬২ লক্ষ অফিসে স্বচ্ছতা অভিযান চালিয়ে ৯২.৮৪ লক্ষ স্কোয়ারফুট সাফ করা হয়েছে। ১৬৬.৯৫ লক্ষ ফাইল বাতিল করা হয়েছে এবং বিপুল পরিমাণ স্ক্র্যাপ বিক্রি করে ৪০৯৭.২৪ কোটি টাকা আয় হয়েছে।
চলতি বছরে ক্য়াবিনেট মন্ত্রী ও অন্যান্য মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রীরা স্বচ্ছতা অভিযানের নিয়মিত তদারকি করেছেন। কর্মীদের সঙ্গে কথা বলেছেন এবং রিভিউ বৈঠক করেছেন।
