নয়া দিল্লি: গত বছরই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (World Health Organization) মান্যতা পেয়েছে সম্পূর্ণ দেশীয় পদ্ধতিতে তৈরি কোভ্যাক্সিন (Covaxin) টিকা। এই মান্যতা পাওয়ার ফলেই একদিকে যেমন ভারতীয়দের বিদেশ যাত্রায় আর কোনও বাধা থাকল না, তেমনই বিভিন্ন দেশে টিকা রফতানিতেও কোনও সমস্যা রইল না। শুক্রবারই লোকসভায় (Lok Sabha) কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ভারতী প্রবীণ জানান, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী এখনও অবধি বিশ্বের ১৩টি দেশে জরুরিভিত্তিতে প্রয়োগের অনুমোদন পেয়েছে কোভ্যাক্সিন টিকা। দেশে ছোটদের টিকাকরণ নিয়েও বেশ কিছু নতুন তথ্য জানান তিনি।
কোভ্যাক্সিন টিকা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবেই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জানান, গত বছর ২৪ ডিসেম্বর ভারতের নিয়ামক সংস্থা ড্রাগস কন্ট্রোলার জেনারেল অব ইন্ডিয়া কোভ্যাক্সিনকে ১২ থেকে ১৮ বছর বয়সীদের উপর প্রয়োগের জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োগের অনুমোদন দেয়। এরপরই করোনা টিকা নিয়ে তৈরি ওয়ার্কিং গ্রুপ এনটিএজিআই-র তরফে ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সীদের উপর এই টিকা জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োগের পরামর্শ দেওয়া হয়।
কোভিড-১৯ ওয়ার্কি গ্রুপ ও স্ট্যান্ডিং টেকনিক্যাল সাবকমিটি অব ন্যাশনাল টেকনিক্যাল অ্যাডভাইসরি গ্রুপের পরামর্শ অনুযায়ীই ভারত সরকারের তরফে ৩ জানুয়ারি থেকে ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সীদের টিকাকরণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গতকাল লোকসভায় বলেন, “যে কোনও দেশেই টিকাকরণের অনুমোদনের জন্য একটি প্রযুক্তিগত ও বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি অনুসরণ করতে হয়। নিয়ম মেনেই টিকা প্রস্তুতকারক সংস্থাকে নিয়ামক সংস্থার কাছে টিকা সম্পর্কিত যাবতীয় তথ্য জমা দিতে হয়। সেই তথ্য পর্যালোচনার পরই অনুমোদন দেওয়া হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালের জানুয়ারি মাস অবধি কোভ্যাক্সিনকে বিশ্বের ১৩টি দেশে জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োগের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।”
ভারত বায়োটেক সংস্থার তৈরি কোভ্যাক্সিনের অনুমোদন ও সরবরাহের ক্ষেত্রে ভারত সরকার কোনও সমস্যার অভিযোগ পেয়েছে কিনা, এই প্রশ্নের উত্তরে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ভারতী প্রবীণ জানান, এখনও অবধি কেন্দ্রের কাছে কোনও বিদেশী সংস্থাই কোভ্যাক্সিনের সরবরাহ নিয়ে অভিযোগ জানায়নি।
তিনি বলেন, “গত বছরের এপ্রিল-মে মাসে দেশে যখন করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়েছিল, সেই সময় জাতীয় করোনা টিকাকরণ কর্মসূচিকেই প্রধান্য দেওয়া হয়েছিল। এর কারণে ভারতীয় টিকা উৎপাদনকারী সংস্থাগুলির সঙ্গে করা বিদেশী বাণিজ্যিক চুক্তিগুলি কিছুটা প্রভাবিত হতে পারে।”
বাণিজ্য়িক চুক্তিতে প্রভাব পড়ায় কোনও আর্থিক ক্ষতি হয়েছে কিনা এবং সরকারের কাছে তার কোনও হিসাব রয়েছে কিনা, এই প্রশ্নও জানতে চাওয়া হয়। এর জবাবে ভারতী প্রবীণ জানান, বিদেশ মন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের পর কোনও প্রকার আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হয়নি সরকারকে। দেশে টিকা উৎপাদন ক্ষমতা বাড়িয়ে জাতীয় টিকাকরণ কর্মসূচিকেও সাহায্য করা হয়েছিল।
নয়া দিল্লি: গত বছরই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (World Health Organization) মান্যতা পেয়েছে সম্পূর্ণ দেশীয় পদ্ধতিতে তৈরি কোভ্যাক্সিন (Covaxin) টিকা। এই মান্যতা পাওয়ার ফলেই একদিকে যেমন ভারতীয়দের বিদেশ যাত্রায় আর কোনও বাধা থাকল না, তেমনই বিভিন্ন দেশে টিকা রফতানিতেও কোনও সমস্যা রইল না। শুক্রবারই লোকসভায় (Lok Sabha) কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ভারতী প্রবীণ জানান, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী এখনও অবধি বিশ্বের ১৩টি দেশে জরুরিভিত্তিতে প্রয়োগের অনুমোদন পেয়েছে কোভ্যাক্সিন টিকা। দেশে ছোটদের টিকাকরণ নিয়েও বেশ কিছু নতুন তথ্য জানান তিনি।
কোভ্যাক্সিন টিকা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবেই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জানান, গত বছর ২৪ ডিসেম্বর ভারতের নিয়ামক সংস্থা ড্রাগস কন্ট্রোলার জেনারেল অব ইন্ডিয়া কোভ্যাক্সিনকে ১২ থেকে ১৮ বছর বয়সীদের উপর প্রয়োগের জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োগের অনুমোদন দেয়। এরপরই করোনা টিকা নিয়ে তৈরি ওয়ার্কিং গ্রুপ এনটিএজিআই-র তরফে ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সীদের উপর এই টিকা জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োগের পরামর্শ দেওয়া হয়।
কোভিড-১৯ ওয়ার্কি গ্রুপ ও স্ট্যান্ডিং টেকনিক্যাল সাবকমিটি অব ন্যাশনাল টেকনিক্যাল অ্যাডভাইসরি গ্রুপের পরামর্শ অনুযায়ীই ভারত সরকারের তরফে ৩ জানুয়ারি থেকে ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সীদের টিকাকরণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গতকাল লোকসভায় বলেন, “যে কোনও দেশেই টিকাকরণের অনুমোদনের জন্য একটি প্রযুক্তিগত ও বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি অনুসরণ করতে হয়। নিয়ম মেনেই টিকা প্রস্তুতকারক সংস্থাকে নিয়ামক সংস্থার কাছে টিকা সম্পর্কিত যাবতীয় তথ্য জমা দিতে হয়। সেই তথ্য পর্যালোচনার পরই অনুমোদন দেওয়া হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালের জানুয়ারি মাস অবধি কোভ্যাক্সিনকে বিশ্বের ১৩টি দেশে জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োগের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।”
ভারত বায়োটেক সংস্থার তৈরি কোভ্যাক্সিনের অনুমোদন ও সরবরাহের ক্ষেত্রে ভারত সরকার কোনও সমস্যার অভিযোগ পেয়েছে কিনা, এই প্রশ্নের উত্তরে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ভারতী প্রবীণ জানান, এখনও অবধি কেন্দ্রের কাছে কোনও বিদেশী সংস্থাই কোভ্যাক্সিনের সরবরাহ নিয়ে অভিযোগ জানায়নি।
তিনি বলেন, “গত বছরের এপ্রিল-মে মাসে দেশে যখন করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়েছিল, সেই সময় জাতীয় করোনা টিকাকরণ কর্মসূচিকেই প্রধান্য দেওয়া হয়েছিল। এর কারণে ভারতীয় টিকা উৎপাদনকারী সংস্থাগুলির সঙ্গে করা বিদেশী বাণিজ্যিক চুক্তিগুলি কিছুটা প্রভাবিত হতে পারে।”
বাণিজ্য়িক চুক্তিতে প্রভাব পড়ায় কোনও আর্থিক ক্ষতি হয়েছে কিনা এবং সরকারের কাছে তার কোনও হিসাব রয়েছে কিনা, এই প্রশ্নও জানতে চাওয়া হয়। এর জবাবে ভারতী প্রবীণ জানান, বিদেশ মন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের পর কোনও প্রকার আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হয়নি সরকারকে। দেশে টিকা উৎপাদন ক্ষমতা বাড়িয়ে জাতীয় টিকাকরণ কর্মসূচিকেও সাহায্য করা হয়েছিল।