নয়া দিল্লি: গত বছরই তুঙ্গে উঠেছিল টুইটার (Twitter) তরজা। কেন্দ্রের নিয়ম মানা নিয়েই টুইটার সংস্থার সঙ্গে যে বিরোধ শুরু হয়েছিল, শেষ অবধি টুইটার সংস্থার তরফে জানানো হয় যে, সমস্ত নিয়ম অনুসরণ করেই চলবে। তবে বছর ঘুরলেও এখনও কেন্দ্রের সমস্ত নিয়ম অনুসরণ করেনি টুইটার। এবার মাইক্রো ব্লগিং সাইটকে চরম হুঁশিয়ারি দিল কেন্দ্র। সূত্রের খবর, বুধবারই কেন্দ্রের তরফে টুইটার সংস্থাকে নোটিস পাঠানো হয়েছে। আগামী ৪ জুলাইয়ের মধ্যে টুইটারকে কেন্দ্রের দেওয়া যাবতীয় শর্ত ও নির্দেশিকা অনুসরণ করতে হবে।
ইলেকট্রনিক্স ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রকের (Ministry of Electronics & Information Technology) তরফে জানানো হয়েছে, ৪ জুলাইয়ের মধ্যে টুইটার সংস্থাকে কেন্দ্রের দেওয়া যাবতীয় নিয়ম অনুসরণ করতেই হবে। যদি টুইটার এই সময়ের মধ্যে নিয়ম মানতে ব্যর্থ হয়, তবে টুইটার অন্তর্বর্তীকালীন সুরক্ষা হারাবে। অর্থাৎ যদি টুইটার অন্তর্বর্তীকালীন সুরক্ষা হারায়, তবে এই প্ল্যাটফর্মে হওয়া যাবতীয় পোস্টের জন্য দায়বদ্ধ থাকবে খোদ টুইটার।
সংবাদসংস্থা পিটিআই সূত্রে খবর, গত ২৭ জুন টুইটারকে কেন্দ্রের তরফে একটি নোটিস পাঠানো হয়েছে। সেই নোটিসে টুইটার সংস্থাকে কেন্দ্রের আগে পাঠানো যাবতীয় নোটিস অনুসরণ করে চলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, এর আগেও কেন্দ্রের তরফে একাধিক নোটিস পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু সেই নিয়ম অনুসরণ করেনি টুইটার। এবার কেন্দ্রের তরফে চূড়ান্ত নোটিস পাঠানো হয়েছে। যদিও টুইটারের তরফে এখনও এই বিষয়ে কোনও জবাব দেওয়া হয়নি।
গত ২৬ জুন টুইটারের তরফে কেন্দ্রের কাছে একটি তালিকা পাঠানো হয়েছে, যেখানে কেন্দ্রের নির্দেশ অনুযায়ী ৮০ টিরও বেশি টুইটার অ্যাকাউন্টকে ব্লক করে দেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। কৃষক আন্দোলন ও তার পরবর্তী সময়েও বেশ কিছু ঘটনা নিয়ে টুইটারের বেশ কিছু পোস্ট নিয়ে কেন্দ্রের তরফে সংস্থাকে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। বিতর্কিত টুইট ও একাধিক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল কেন্দ্রের তরফে। সেই নির্দেশই পালন করেছে টুইটার।
উল্লেখ্য, গত বছর ধরেই কেন্দ্রের সঙ্গে একাধিকবার বিরোধে জড়িয়ে পড়েছিল টুইটার। কেন্দ্রের নয়া তথ্য প্রযুক্তি আইন অনুযায়ী, গ্রাহকদের সমস্যা শোনার জন্য এবং তা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য সোশ্যাল মিডিয়া সংস্থাগুলিকে একজন গ্রিভিয়েন্স অফিসার নিয়োগ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কেন্দ্রের বিশেষ শর্ত ছিল, ওই আধিকারিককে ভারতীয় হতে হবে।বাকি সোশ্যাল মিডিয়া সংস্থাগুলি এই নিয়ম মেনে নিলেও টুইটার তা মানেনি। কেন্দ্রের নয়া আইনে মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিয়ে দিল্লি হাইকোর্টের দারস্থও হয়েছিল টুইটার।