অক্সিজেন সরবরাহ নিয়ে নতুন গাইডলাইন কেন্দ্রের, কন্ট্রোল রুম খুলল রাজ্যের স্বাস্থ্য ভবনও

ঋদ্ধীশ দত্ত |

Apr 22, 2021 | 4:08 PM

নাইট কার্ফু হোক বা লকডাউন, অক্সিজেন সরবরাহ যাতে কোনওভাবে বিঘ্নিত না হয় সে দিকে সেটা এই নির্দেশিকায় সাফ জানানো হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে।

অক্সিজেন সরবরাহ নিয়ে নতুন গাইডলাইন কেন্দ্রের, কন্ট্রোল রুম খুলল রাজ্যের স্বাস্থ্য ভবনও
ছবি- টুইটার

Follow Us

নয়া দিল্লি: করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের জেরে সংক্রমণের রীতিমতো সুনামি এসেছে দেশে। পরিস্থিতি আরও সঙ্গীন করে তুলেছে একাধিক রাজ্যে অক্সিজেনের আকাল। এহেন পরিস্থিতিতে মেডিক্যাল অক্সিজেন সরবরাহ নিয়ে রাজ্যগুলিকে নতুন নির্দেশিকা দিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।

কেন্দ্রের তরফে নতুন গাইডলাইন জারি করে বলা হয়েছে, মেডিকেল অক্সিজেন সরবরাহের ক্ষেত্রে যাতে কোথাও বাধা না হয় সেই দিকে সমস্ত জেলাশাসক এবং পুলিশ সুপারদের নজর দিতে হবে। মেডিকেল অক্সিজেন সরবরাহের ক্ষেত্রে কোথাও সমস্যা তৈরি হলে তার দায় বর্তাবে জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারদের উপরে। স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। সমস্ত রাজ্যের মুখ্যসচিবদের চিঠি দিয়ে এই গাইডলাইন জারি করেছে কেন্দ্র।

একই সঙ্গে জানানো হয়েছে, সঙ্কটজনক অবস্থায় মেডিক্যাল অক্সিজেন সরবরাহের ক্ষেত্রে কোনও ধরনের বিধিনিষেধ থাকবে না। নাইট কার্ফু হোক বা লকডাউন, অক্সিজেন সরবরাহ যাতে কোনওভাবে বিঘ্নিত না হয় সে দিকে সেটা এই নির্দেশিকায় সাফ জানানো হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে।

আরও পড়ুন: ভয়াবহ আকার নিয়েছে করোনা, অমরনাথ যাত্রার রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া আপাতত বন্ধ

এই পরিস্থিতিতে রাজ্য জুড়ে মেডিক্যাল অক্সিজেনের সরবরাহ যাতে নিরন্তর থাকে তা নিশ্চিত করতে পদক্ষেপ করেছে রাজ্য সরকারও। নতুন করে ২৪ ঘণ্টার কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে স্বাস্থ্য ভবনের তরফ থেকে। পাঁচ সদস্যের এই কন্ট্রোল রুম গঠন করা হয়েছে। রাজ্যে প্রতিদিন কত মেট্রিক টন অক্সিজেন উৎপাদন হচ্ছে তার হিসেব রাখার পাশাপাশি চাহিদা, জোগান এবং ঘাটতিরও হিসেব রাখা হবে। একই সঙ্গে আগামী সময়ে রাজ্যে কত পরিমাণ অক্সিজেন প্রয়োজন পড়বে সে দিকেও নজর রাখা হবে এই কন্ট্রোল রুমের পক্ষ থেকে।

আরও পড়ুন: আলমারিতে ৫০ হাজার টাকা অক্ষত, চুরি গেল ১,৭১০ ডোজ করোনা ভ্যাকসিন!

এ ছাড়াও প্রতিটি সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে কত অক্সিজেন মজুত রয়েছে, তা দেখবে কন্ট্রোল রুম। প্রতিটি কোভিড হাসপাতালে কত অক্সিজেন লাগতে পারে তার রূপরেখা তৈরি করা হবে। একই সঙ্গে ন্যাশনাল হেলথ পোর্টালে চাহিদা-জোগানের তথ্যপঞ্জি তৈরি করে প্রতি সপ্তাহে মেডিক্যাল অক্সিজেনের পরিস্থিতি সংক্রান্ত রিপোর্ট জমা দেওয়া হবে।

Next Article