গরিব-মধ্যবিত্তের ৩৮ হাজার কোটি টাকা বাঁচিয়ে দিয়েছে কেন্দ্রের এই প্রকল্প, কীভাবে জানেন?
Jan Aushadhi outlets: অনুপ্রিয়া পটেল বলেন, "জন ঔষুধী মেডিসিনের পরিষেবা বৃদ্ধি এবং সাধারণ মানুষের খরচ কমাতে আগামী ২০২৭ সালের মার্চ মাসের মধ্যে ২৫ হাজার জন ঔষুধী কেন্দ্র খোলার পরিকল্পনা রয়েছে কেন্দ্রের।"

নয়া দিল্লি: দেশের নাগরিকদের বিশাল উপকার, বিগত ১১ বছরে সাধারণ মানুষের ৩৮ হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় হয়েছে শুধুমাত্র জন ঔষুধী আউটলেটের মাধ্যমে।
মঙ্গলবার রাজ্যসভায় কেন্দ্রীয় কেমিক্যাল ও ফার্টিলাইজার্স প্রতি মন্ত্রী অনুপ্রিয়া পটেল এই উত্তর দেন। তিনি জানান, চলতি বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত দেশে ১৬ হাজার ৯১২টি জন ঔষুধী কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এই স্কিম বা প্রকল্পের দৌলতে বিগত ১১ বছরে নাগরিকদের ৩৮ হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় হয়েছে, যা আগে ব্রান্ডেড ওষুধ কিনতে খরচ হত।
কেন্দ্রের এই প্রকল্পের কারণে গৃহস্থের খরচ অনেকটাই কমেছে। যেখানে স্বাস্থ্যখাতে ২০১৪-১৫ সালে খরচ হত ৬২.৬ শতাংশ, তা ২০২১-২২ সালে কমে ৩৯.৪ শতাংশে নেমে দাঁড়িয়েছে।
অনুপ্রিয়া পটেল বলেন, “জন ঔষুধী মেডিসিনের পরিষেবা বৃদ্ধি এবং সাধারণ মানুষের খরচ কমাতে আগামী ২০২৭ সালের মার্চ মাসের মধ্যে ২৫ হাজার জন ঔষুধী কেন্দ্র খোলার পরিকল্পনা রয়েছে কেন্দ্রের।”
জন ঔষুধী কেন্দ্রের আউটলেটগুলিতে ২১১০টিরও বেশি ওষুধ ও ৩১৫ ধরনের সার্জিকাল সামগ্রী পাওয়া যায়। এছাড়া বিভিন্ন মেডিক্যাল ডিভাইসও পাওয়া যায়। সবথেকে বড় সুবিধা হল, এগুলি বাজারে ব্রান্ডেড পণ্যের তুলনায় ৫০ থেকে ৮০ শতাংশ সস্তায় পাওয়া যায়।
কেন্দ্রের তরফে বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ২০২৩-২৪ সালে এবং ২০২৪-২৫ সালে জন ঔষুধী কেন্দ্র থেকে যথাক্রমে ১৪৭০ কোটি এবং ২০২২ কোটি টাকার ওষুধ বিক্রি করেছে।

