চেন্নাই: এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে চেন্নাই পুলিশ (Chennai Police)। তাঁর পাশাপাশি ২ জনকে আটক করা হয়েছে। ইরাক (Iraq) ও সিরিয়ার (Syria) কুখ্যাত জঙ্গি সংগঠন আইসিসের লিফলেট ও বোমা বানানোর নোট থাকায় তাদেরকে হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার পুলিশ জানিয়েছে, পুলিশি চেকপোস্ট এড়িয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিল ওই ৩ জন। মোটরবাইকের রেজিস্ট্রেশন নম্বর থেকে ওই তিনজনের গতিবিধির ওপর নজরদারি চালিয়ে একজনের ব্যাগ বাজেয়াপ্ত করেন এক পুলিশকর্মী। সেই ব্যাগ থেকে আইসিসের লিফলেট এবং ইউটিউব ভিডিয়ো থেকে সংগ্রহ করা বোমা বানানোর নোট উদ্ধার করা হয়। নোটের মধ্যে বোমা তৈরিতে ব্যবহৃত রাসায়নিকের উল্লেখ ছিল। তাদের এই কার্যকলাপ দেখে সন্দেহ হতেই আটক করার সিদ্ধান্ত নেয় পুলিশ।
নাগুর মিরান নামের এক ব্যক্তিকে ভারতীয় দণ্ডবিধিরি ১৫৩ এ (বিভিন্ন গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষে প্ররোচনা), ৫০৫ (১)(বি) (হিংসা ছড়ানোর উদ্দেশ্য) এবং ৫০৫ (২) ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। বাকি দু’জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। তাদের গ্রেফাতার করা হত বলেই মনে করা হচ্ছে। পুলিশ জানিয়েছে ঘটনার তদন্ত চালিয়ে এর পিছনে অন্য কেউ আছে কি না, তা খুঁজে বের করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
সন্ত্রাসবাদের প্রচার ও জঙ্গি কার্যকলাপের মোকাবিলায় বেশ কয়েকদিন ধরেই বিভিন্ন নিরাপত্তা বাহিনী চেন্নাইয়ে একাধিক ব্যক্তিকে আটক করেছে। চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসে সন্দেহভাজন এক আইসিসি জঙ্গি শাকুল হামিদকে গ্রেফতার করেছিল ন্যাশলান ইনভেস্টিগেটিং এজেন্সি বা এনআইএ। চেন্নাই থেকে সন্দেহভাজন ওই জঙ্গিকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। আইসিসের হয়ে তহবিল জোগাড়ের অভিযোগে ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছিল এনআইএ। ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে এনআইএ জানতে পেরেছে চেন্নাই একাধিক জঙ্গি নাশকতার পরিকল্পনা ছিল ওই জঙ্গি সংগঠনের। এমনকী তামিলনাড়ুতে আক্রমণের পরিকল্পনা ছিল। হামিদ ছাড়াও আরও ৯ জন জঙ্গি আক্রমণের ষড়যন্ত্রের পিছনে যুক্ত, এমটাই জানিয়েছিল এনআইএ। তদন্তে এনআইএ জানতে পেরেছে টাকা জোগাড় করে তামিলনাড়ুতে প্রশিক্ষণের জন্য ইরাক ও সিরিয়াতে পাঠানো হয়েছে।