Ganja: মদের থেকে গাঁজা, ভাঙ ভাল! অপরাধ কমায়! মত বিজেপি বিধায়কের

TV9 Bangla Digital | Edited By: অংশুমান গোস্বামী

Jul 25, 2022 | 6:55 PM

Chhattisgarh: মদে আসক্ত ব্যক্তিরা ধর্ষণ, খুনের মতো অপরাধের ঘটনার সঙ্গে বেশি জড়িয়ে থাকেন। মদের বদেল যাঁরা গাঁজা, ভাঙ খান, তাঁরা ধর্ষণ-খুনের মতো অপরাধের ঘটনায় অনেক কম জড়ান।

Ganja: মদের থেকে গাঁজা, ভাঙ ভাল! অপরাধ কমায়! মত বিজেপি বিধায়কের
প্রতীকী ছবি

Follow Us

রায়পুর: মদে আসক্ত ব্যক্তিরা ধর্ষণ, খুনের মতো অপরাধের ঘটনার সঙ্গে বেশি জড়িয়ে থাকেন। মদের বদেল যাঁরা গাঁজা, ভাঙ খান, তাঁরা ধর্ষণ-খুনের মতো অপরাধের ঘটনায় অনেক কম জড়ান। তাই মদের বদলে গাঁজা-ভাঙের নেশা বিষয়ে উৎসাহ দেওয়া উচিত। সম্প্রতি এ রক মন্তব্য করে বিতর্কে জড়ালেন ছত্তীসগঢ়ের এক বিজেপি সাংসদ। ওই বিজেপি বিধায়কের নাম কৃষ্ণমূর্তি বান্ধি। মাস্তুরি কেন্দ্রের বিধায়কের এই মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেছে কংগ্রেস। কী করে এক জন জনপ্রতিনিধি নেশাদ্রব্যের প্রচার করছে, সে প্রশ্ন তুলেছে ছত্তীসগঢ়ের কংগ্রেস।

ছত্তীসগঢ়ে ভোটের সময় মদ বন্ধের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল কংগ্রেস। সে বিষয়টি নিয়ে সাংবাদিকদের বলার সময় বিজেপি বিধায়ক বলেছেন, “এর আগেও আমরা বিষয়টি বিধানসভায় তুলছিলাম। আমি আমার একটি ব্যক্তিগত মতামত বলি, যা আগে বিধানসভায় বলেছি। মদ ধর্ষণ, খুন এবং ঝগড়ার অন্যতম কারণ। কিন্তু যে ব্যক্তিরা গাঁজা, ভাঙ খায়, তাঁদের কাউকে দেখেছেন খুন, ধর্ষণ এবং ডাকাতির সঙ্গে জড়িয়ে থাকতে?” ইতিমধ্যেই সে রাজ্যে মদ বন্ধের বিষয়টি নিয়ে সিদ্ধান্তের জন্য একটি কমিটি গঠিত হয়েছে। সেই কমিটির উদ্দেশে ওই বিজেপি বিধায়ক বলেছেন, “কমিটির চিন্তা করা উচিত কী ভাবে গাঁজা এবং ভাঙের দিকে এগোনো যায়। মানুষ যদি নেশা করতে চাই, তাহলে তাঁকে এমন কিছু দেওয়া উচিত যা খুন, ধর্ষণ, ডাকাতির দিকে ঠেলে দেয় না।” যদিও এই সবকে তিনি নিজের মতামত বলেছেন।

এই বিষয় নিয়েই ওই বিজেপি বিধায়ককে তোপ দেগেছেন কংগ্রেসের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল। তিনি বলেছেন, “গাঁজাকে বৈধ করতে চাইলে বিজেপি বিধায়কের উচিত কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের কাছে দরবার করা।” এনডিপিএস আইন অনুসারে, ভারতে গাঁজা বিক্রি এবং খাওয়া অপরাধ। এর পরই বিধায়ককে তোপ দেগে বলেছেন, “সেন্ট্রাল এজেন্সি যখন ১০ গ্রাম গাঁজা খুঁজতে মুম্বই কাঁপিয়ে দিয়েছিল। এখানে বিজেপি বিধায়ক বলছে গাঁজাকে বৈধ করতে। কোনও প্রকাশ নেশাই ভাল নয়। এ ধরনের চিন্তাধারায় সমাজের পক্ষে ক্ষতিকর।”

Next Article