Election Comimission: কংগ্রেসের ‘ম্যাচ ফিক্সিং’ অভিযোগ বাউন্ডারির বাইরে ফেলে পাল্টা জবাব মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের

TV9 Bangla Digital | Edited By: Sukla Bhattacharjee

Mar 28, 2023 | 8:01 PM

বিজেপির সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের 'ম্যাচ ফিক্সিং' অভিযোগ তুলেছিল কংগ্রেস। এবার তার জবাব দিলেন মুখ্য নির্বাচনী কমিশনার রাজীব কুমার।

Election Comimission: কংগ্রেসের ম্যাচ ফিক্সিং অভিযোগ বাউন্ডারির বাইরে ফেলে পাল্টা জবাব মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের
গুয়াহাটিতে সাংবাদিক সম্মেলনে মুখ্য নির্বাচনী কমিশনার।

Follow Us

গুয়াহাটি: বিজেপির সঙ্গে আঁতাত করেছে নির্বাচন কমিশন (Election Comimission)। অসমের (Assam) বিধানসভা ও সংসদীয় নির্বাচনী এলাকার সীমা নির্ধারণ (Delimitation) নিয়ে এমনই অভিযোগ তুলে নির্বাচন কমিশনের ডাকা বৈঠক বয়কট করেছে কংগ্রেস। এবার কংগ্রেসের অভিযোগের পাল্টা জবাব দিল নির্বাচন কমিশন।

বিজেপির সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের ‘ম্যাচ ফিক্সিং’ অভিযোগের জবাব দিতে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার মঙ্গলবার গুয়াহাটিতে একটি সাংবাদিক বৈঠক করেন। সেই বৈঠক থেকে তিনি বলেন, “নির্বাচন কমিশন কারও আদেশ শোনে না। কমিশন হিসাবে, আমাদের প্রক্রিয়া দুটি ভিত্তির উপর নির্ভর করে- উন্মোচন এবং অংশগ্রহণ।” রাজ্যের প্রতিটি সম্প্রদায়কে ন্যায্যভাবে বিবেচনা করা, আইনি কাঠামোর মধ্য দিয়ে সাম্যতার নীতিগুলি মেনে নির্বাচন কমিশন চলে বলেও এদিন আশ্বস্ত করেন তিনি।

প্রসঙ্গত, অসম কংগ্রেসের প্রধান ভূপেন বোরাহ বলেছিলেন যে, তাঁরা দিল্লিতে গিয়ে নির্বাচন কমিশনে একটি স্মারকলিপি জমা দিয়েছেন। সেখানে তাঁরা অসম নির্বাচনী এলাকার সীমা পুনর্নির্মাণের বিষয়ে বেশ কিছু সন্দেহ উত্থাপন করেছেন। কিন্তু, নির্বাচনী সংস্থা সে বিষয়ে এখনও প্রতিক্রিয়া জানায়নি। তিনি বলেন, “আমরা ইসি-র সঙ্গে দেখা করতে এবং আলোচনা করতে প্রস্তুত। তবে প্রথমে আমাদের প্রশ্নের উত্তর পেতে হবে।” তারপর সোমবার নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠক বয়কট করে অসমের বিরোধী দলনেতা তথা কংগ্রেস বিধায়ক দেবব্রত সাইকিয়া আরও একধাপ এগিয়ে বলেন, “নির্বাচন কমিশন মাত্র ১০-১৫ মিনিট সময় দিয়েছে এবং আমাদের মনে হয় তাদের সঙ্গে এরকম বৈঠক করার দরকার নেই।”

এদিন কংগ্রেস বিধায়কের এই অভিযোগ অস্বীকার করে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জানান, তাঁরা সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলির সঙ্গেই পরামর্শ করতে চান। জানুয়ারিতে গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টিকে অন্য কোনও দলের আগে দেখা করার জন্য সময় দিয়েছিলেন বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

প্রসঙ্গত, ১৪ বছর আগে ১৯৭৬ সালে শেষবার অসমের নির্বাচনী এলাকার সীমা নির্ধারণ হয়েছিল। এবার পুনরায় সীমা নির্দেশ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তাই গোটা বিষয়টি সরেজমিনে দেখতে সোমবার তিনদিনের সফরে গুয়াহাটি গিয়েছেন মুখ্য নির্বাচনী কমিশনার রাজীব কুমার। অসমের সীমা নির্ধারণের আগে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের পাশাপাশি শেয়ার বাজারে বিনিয়োগকারীদের সঙ্গেও পরামর্শ করতে চান তিনি। এছাড়া অসমের বিভিন্ন ক্ষেত্রের মোট ৬০টি সিভিল সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গেও তিনি আলোচনা করবেন বলে রাজীব কুমার জানিয়েছেন।

Next Article