NITI Aayog Meeting : ‘কেন্দ্রীয় করের ভাগ’ থেকে ‘ন্যায়পালের’ ভূমিকা, মোদীর পৌরহিত্যে নীতি আয়োগের বৈঠকে উঠে এসেছে মুখ্যমন্ত্রীদের নানান দাবি

TV9 Bangla Digital | Edited By: অঙ্কিতা পাল

Aug 07, 2022 | 6:35 PM

NITI Aayog Meeting : মোদীর সভাপতিত্বে নীতি আয়োগের বৈঠকে এদিন বিভিন্ন রাজ্য়ের মুখ্যমন্ত্রীরা যোগ দেন। তাঁরা বিভিন্ন অনুরোধ তুলে ধরেন এই বৈঠকে।

NITI Aayog Meeting : কেন্দ্রীয় করের ভাগ থেকে ন্যায়পালের ভূমিকা, মোদীর পৌরহিত্যে নীতি আয়োগের বৈঠকে উঠে এসেছে মুখ্যমন্ত্রীদের নানান দাবি
ছবি সৌজন্যে : PTI

Follow Us

নয়া দিল্লি : রবিবার নয়া দিল্লিতে রাষ্ট্রপতি ভবনের সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে নীতি আয়োগের বৈঠক অনুষ্ঠিত হল। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সভাপতিত্বে নীতি আয়োগের পরিচালন পরিষদের সপ্তম বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা। এই বৈঠকে যোগদান থেকে বিরত ছিলেন শুধুমাত্র তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও ও বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। এছাড়া বিভিন্ন বিজেপি ও অ-বিজেপি শাসিত বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা নিজেদের বিভিন্ন দাবি তুলে ধরেন এই বৈঠকে। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, ছত্তীসগঢ়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল কর নিয়ে নিজের আবদেন তুলে ধরেছেন এই বৈঠকে। তিনি কেন্দ্রীয় করে মধ্যে রাজ্যের পরিমাণ বাড়ানোর অনুরোধ করেছেন।

ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীণ পট্টনায়ক অনুরোধ বলেছেন, নীতি আয়োগ একজন ন্যায়পালের ভূমিকা পালন করতে পারে। অর্থাৎ, কেন্দ্রীয় কোনও প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে কেন্দ্র বা রাজ্য়ের মধ্যে কোনও বিষয় নিয়ে বিরোধ বাঁধলে তার নিষ্পত্তির জন্য নীতি আয়োগকে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করার অনুরোধ জানিয়েছেন। এদিকে ছত্তীসগঢ়ের মুখ্যমন্ত্রী কেন্দ্রের করে রাজ্যের ভাগ বাড়ানোর জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন। সেই রাজ্যের জনসংযোগ বিভাগের তরফে একটি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ‘রাজ্যের ব্যয় বেড়ে গিয়েছে। তাই কেন্দ্রের প্রাপ্ত রাজস্ব থেকে রাজ্যের প্রাপ্য অংশ বাড়ানোর দাবি জানানো হয়েছে।’ এছাড়াও জানা গিয়েছে, পণ্য ও পরিষেবা কর (GST) প্রসঙ্গে রাজ্যের ক্ষতিপূরণ পাওয়ার সময়সীমা আরও পাঁচ বছর বাড়ানোর দাবি তুলেছেন ছত্তীসগঢ়ের মুখ্যমন্ত্রী। আধিকারিক সূত্রে খবর, কয়লা সহ একাধিক খনিজের ক্ষেত্রে রয়্যালটি রেট পুনর্বিবেচনার জন্য কেন্দ্রের কাছে আবেদন জানিয়েছেন বাঘেল। এর পাশাপাশি ২০০৪ সালের নভেম্বর মাস থেকে জাতীয় পেনশন স্কিমে জমানো রাজ্যের টাকার ফেরত চেয়েছেন তিনি।

এছাড়াও এই বৈঠকে কিছু অভিযোগ তুলে ধরেছেন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীণ পট্টনায়েক। তিনি অভিযোগ করেছেন, ঐতিহাসিকভাবে কেন্দ্রের তালিকায় থাকা টেলিকম, রেলওয়ে ও ব্যাঙ্কিংয়ের মতো বিষয় থেকে বঞ্চিত হয়েছে। ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে ওড়িশার প্রতি বিশেষ নজর দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন। উল্লেখ্য, প্রতি বছরই বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগে বিভিন্নভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ওড়িশা। তাই সেই দিক থেকেও বিশেষ দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী ফসল বিমান যোজনা নিয়ে তিনি বলেছেন, এই প্রকল্পের বাস্তবায়নে কিছু সমস্যা রয়েছে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে কৃষকরা এই কারণে বঞ্চিতও হচ্ছেন। সেদিকে কেন্দ্রের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন তিনি।

Next Article