AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Child Marriage: নাবালিকা বিবাহে শীর্ষে ঝাড়খণ্ড, বাংলার প্রায় ৫৫ শতাংশ মেয়ের বিয়ে হয় ২১ বছরের আগে

নাবালিকা বিয়ের হার কোন রাজ্যে কেমন, তা সম্প্রতি একটি রিপোর্টে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক।

Child Marriage: নাবালিকা বিবাহে শীর্ষে ঝাড়খণ্ড, বাংলার প্রায় ৫৫ শতাংশ মেয়ের বিয়ে হয় ২১ বছরের আগে
প্রতীকী ছবি
| Edited By: | Updated on: Oct 08, 2022 | 6:25 PM
Share

নয়াদিল্লি: নির্দিষ্ট বয়স না হলে বিয়ে করা আইনের চোখে অপরাধ। এ জন্য ছেলে এবং মেয়েদের বিয়ের ন্যূনতম বয়স ধার্য করা হয়েছে। কিন্তু দেশের বিভিন্ন প্রান্তেই নির্দিষ্টি বয়সের আগেই বিয়ে দেওয়া হয় মেয়েদের। অনেক ক্ষেত্রেই নাবালিকা অবস্থাতেই বিয়ে হয় মেয়েদের। নাবালিকা বিয়ের হার কোন রাজ্যে কেমন, তা সম্প্রতি একটি রিপোর্টে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। ওই মন্ত্রকের অধীনে থাকা রেজিস্ট্রার জেনারাল অ্যান্ড সেনসাস কমিশনার অফিস এই সমীক্ষা করেছিল। সেখানে দেখা গিয়েছে, সাবালক হওয়ার আগেই মেয়েদের বিয়ে দেওয়ার ব্যাপারে শীর্ষে রয়েছে ঝাড়খণ্ড। নাবালিকা বিয়ের মতো সমস্যা একেবারেই নেই কেরলে।

সেই রিপোর্টে জানানো হয়েছে, ১৮ বছর বয়স পেরনোর আগেই বিয়ে হয়ে যায় দেশের ১.৯ শতাংশ মেয়ের। ঝাড়খণ্ডে এই সংখ্যা ৫.৮ শতাংশ। অর্থাৎ জাতীয় গড়ের প্রায় তিন গুণ বেশি। কেরলে এই সংখ্যা শূন্য। ঝাড়খণ্ডের গ্রামীণ এলাকায় প্রায় ৭.৩ শতাংশ মেয়ের বিয়ে হয় ১৮ নাবালক অবস্থায়। শহরাঞ্চলে তা তিন শতাংশ মতো।

জানা গিয়েছে, এই সমীক্ষাটি করা হয়েছিল ২০২০ সালে। এ বছর সেই রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে। ১৮ পাশাপাশি ২১ বছর বয়সের আগেই মেয়েদের বিয়ে হওয়ার বিষয়টিও ছিল সমীক্ষার বিষয়। সেখানে আবার সবার প্রথমে পশ্চিমবঙ্গ। রিপোর্টে জানা গিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গের ৫৪.৯ শতাংশ মেয়ের বিয়ে হয় ২১ বছরের আগে। ঝাড়খণ্ডে সেই সংখ্যাটি ৫৪.৬ শতাংশ। ২১ বছরের আগে মেয়েদের বিয়ে হওয়ার জাতীয় গড় ২৯.৫ শতাংশ।

সম্প্রতি ঝাড়খণ্ডে মহিলাদের বিরুদ্ধে অত্যাচারের বেশ কয়েকটি ঘটনা সামনে এসেছে। জানলা দিয়ে পেট্রোল ঢেলে যুবতীতে পুড়িয়ে মারার অভিযোগ উঠেছে। দুমকায় ১৪ বছরের এক নাবালিকাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল। ধর্ষণের পর ওই নাবালিকাকে গাছে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছিল। এই দুই ঘটনার তদন্তের নামে জাতীয় মহিলা কমিশন।