নয়া দিল্লি: করোনার (Coronavirus) দ্বিতীয় ঢেউয়ে ইতিমধ্যেই বেসামাল ভারত। এক রিপোর্ট অনুযায়ী, এই পরিস্থিতি থেকে ভারতের (India) মাথা তুলে দাঁড়াতে অন্তত আড়াই বছর সময় লাগবে। দেশে ভ্যাকসিনের অভাব। হাসপাতালে বেড খালি নেই। যদিও সম্প্রতি কিছুটা কমেছে সংক্রমণ। তবুও চিন্তামুক্ত নয় ভারতবাসী।
জানা গিয়েছে, এরপর করোনার তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়তে চলেছে ভারতে। তৃতীয় ঢেউয়ে বেশি আক্রান্ত হতে পারে ১২ বছরের কম বয়সী বাচ্চারা। এক রিপোর্ট থেকে এমন তথ্যই জানা গিয়েছিল। এর জন্য কেন্দ্র সরকারকে ইতিমধ্যেই সতর্ক করেছেন বিশিষ্ট চিকিৎসক দেবী শেঠী। মহারাষ্ট্র সরকার শিশুদের সুরক্ষা দিতে একটি ট্রাস্ট তৈরি করেছে।
শনিবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের সাংবাদিক বৈঠকে চিকিৎসক ভি কে পল জানালেন করোনার তৃতীয় ঢেউ খুব বেশি প্রভাব ফেলবে না শিশুদের ওপরে। ডক্টর ভি কে পল নীতি আয়োগের সদস্য। তাঁর কথায় আশার আলো দেখতে শুরু করেছে দেশবাসী। এর আগে শিশুদের ওপরে করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের প্রভাব নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করে স্বাস্থ্যকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল নিজেও আগে করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে শিশুদের ওপরে প্রভাবের সম্ভাবনার কথা জানিয়েছিলেন। তবে ডক্টর ভি কে পল মনে করেন করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে শিশুরা আক্রান্ত হলেও তা শিশুদের জন্য খুব বেশি প্রভাবশালী হবে না।