Murder Case: কোনও কথা নেই, কলার ধরে চোখে লঙ্কার গুড়ো, ৩০ বার ছুরি ঢোকাল যুবকের পেটে
Crime News: মাঝ রাস্তায় আচমকাই বছর চল্লিশের এক ব্যক্তি তাঁর উপরে হামলা করে। প্রথমে যুবকের চোখে লঙ্কার গুড়ো ছিটিয়ে দেয় অভিযুক্ত। চোখ জ্বালায় যখন ছটফট করছে যুবক, সেই সময় পকেট থেকে ছোড়া বের করে একের পর এক কোপ বসাতে শুরু করে। কমপক্ষে ৩০ বার কোপানো হয়েছে ওই যুবককে, এমনটাই পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।
পটনা: পড়াশোনার জন্য ভিন রাজ্যে থাকেন। ছট উপলক্ষে বাড়িতে এসেছিলেন। ভেবেছিলেন, খ্রিস্টমাসের ছুটি কাটিয়েই কলেজে ফিরবেন। কিন্তু আর ফেরা হল না। ভরদুপুরে ভরা রাস্তায় খুন করা হল যুবককে। চোখে লঙ্কার গুড়ো ছিটিয়ে, একের পর এক ছুরির কোপানো হল। নীরব দর্শকের মতো দাঁড়িয়ে থাকলেন পথচলতি মানুষ। নৃশংস ঘটনাটি ঘটেছে বিহারের নাওদায়। রাস্তাতেই পড়ে মৃত্যু হয় ওই যুবকের।
পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, শুক্রবার দুপুরে বিহারের নাওদায় ২০ বছরের রাহুল কুমারকে কুপিয়ে খুন করা হয়। শিবনগরর বাসিন্দা ওই যুবক বারাণসীর একটি কলেজে পড়ত। ছট পুজো উপলক্ষে তিনি বাড়িতে এসেছিলেন। এরপর আর ফেরেননি। একেবারে খ্রিস্টমাসের ছুটির পর কলেজে যাবেন বলে ভেবেছিলেন।
শুক্রবার দুপুরে বাড়ি থেকে বের হন রাহুল। মাঝ রাস্তায় আচমকাই বছর চল্লিশের এক ব্যক্তি তাঁর উপরে হামলা করে। প্রথমে যুবকের চোখে লঙ্কার গুড়ো ছিটিয়ে দেয় অভিযুক্ত। চোখ জ্বালায় যখন ছটফট করছে যুবক, সেই সময় পকেট থেকে ছোড়া বের করে একের পর এক কোপ বসাতে শুরু করে। কমপক্ষে ৩০ বার কোপানো হয়েছে ওই যুবককে, এমনটাই পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। পুলিশের হাতে ইতিমধ্যেই একটি সিসিটিভি ফুটেজও এসেছে, যেখানে দেখা যাচ্ছে অভিযুক্ত কীভাবে চোখে লঙ্কার গুড়ো ছেটানোর পর কুপিয়ে খুন করছে যুবককে।
সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে, অভিযুক্ত রাস্তার ধারে টেনে নিয়ে গিয়ে কোপাচ্ছে যুবককে। পথচলতি কয়েকজন দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে গোটা ঘটনা দেখেন, কিন্তু কেউ বাধা দেওয়ার জন্য় এগিয়ে আসেননি। পরে স্থানীয় কর্তৃপক্ষের কাছে খবর যায়। দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করার পরও পুলিশ না আসায়, ই-রিক্সায় করে যুবককে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করে।
পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, খুনের কারণ এখনও জানা যায়নি। তবে যুবকের মা মুঙ্গেরের জেল আধিকারিক। এই হত্য়াকাণ্ডের সঙ্গে তাঁর মায়ের পেশার কোনও যোগ রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অভিযুক্ত এখনও অধরা।