India on China: ‘সেনার সব খবর জানত….’, চিন-পাকিস্তান আঁতাত নিয়ে বড় দাবি ভারতীয় সেনাকর্তার
China Helping Pakistan: যখন ভারতের প্রত্যাঘাতে চোখের সামনে জুজু দেখছে পাকিস্তান। সেই সময় তাদের সেনা DGMO সরাসরি ভারতের DGMO-এর সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল। সংঘাত থামানোর বার্তা দিয়েছিল।

নয়াদিল্লি: চাণক্য লিখে গিয়েছিলেন, ‘যে প্রস্তুত, সে তার নিয়তি নিজেই লিখে থাকে।’ ভারত কি তা পারছে? ওয়াকিবহাল মহল বলছে, হ্য়াঁ পারছে। তাই চিন যে পিছন থেকে ছুরির মারা চেষ্টা করছে, তা আগেই ধরে ফেলেছে নয়াদিল্লি।
শুক্রবার দেশের ডেপুটি চিফ অব আর্মি স্টাফ রাহুল সিং বলেন, ‘অপারেশন সিঁদুরের সময় পাকিস্তানকে ভারতীয় সেনার অবস্থান সম্পর্কে লাইভ ইনপুট বা গোপন তথ্য প্রদান করেছিল চিন।’ নয়াদিল্লিতে FICCI দ্বারা আয়োজিত ‘নিউ এড্জ মিলিটারি টেকনোলজি’ অনুষ্ঠানেই এই অভিযোগ তোলেন সেনাকর্তা।
পাশাপাশি, তাঁর আরও দাবি, ‘সম্মুখ সমরে পাকিস্তানকে সমস্ত রকম ভাবে সাহায্য করেছিল চিন। এমনকি, এই সময়কালে ভারতকে পরাস্ত্র করতে তুরস্কও সব সেনা সরঞ্জাম পাঠানোর দায়িত্ব নিয়েছিল। ভারত আসলে একটি নয়, একেবারে তিনটি দেশকে সংঘাতে ঠেকনা দিচ্ছিল।’
যখন ভারতের প্রত্যাঘাতে চোখের সামনে জুজু দেখছে পাকিস্তান। সেই সময় তাদের সেনা DGMO সরাসরি ভারতের DGMO-এর সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল। সংঘাত থামানোর বার্তা দিয়েছিল। এদিন ডেপুটি চিফ জানিয়েছেন, ‘দুই দেশের DGMO-দের মধ্যে যখন বিরতি নিয়ে আলোচনা চলছে, তখন পাকিস্তানের তরফে বলা হয়, আমরা জানি ভারতের কোন সেনা, কোন আর্টিলারি কোথায় মোতায়েন রয়েছে। আপনারা সেটিকে সরিয়ে নিন।’
কিন্তু পাকিস্তানের সঙ্গে কেন এত মাখামাখি চিনের? ইসলামাবাদের থেকে কোনও লাভটাই বা খুঁজছে তারা? ওয়াকিবহাল মহল বলছে, গোটা চক্রান্তের নেপথ্যে চিনকে ‘উৎসাহ’ জোগাচ্ছে চিন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডর। যার মাধ্যমে পাক অধ্যুষিত কাশ্মীর থেকে একেবারে করাচি বন্দর পর্যন্ত শিল্পাঞ্চল তৈরি করছে চিন। নিজেদের আর্থিক ফায়দায় ব্যবহার করছে পাকিস্তানের জমি। আর সাহায্য করছে ভারতের অস্থিরতা ছড়াতে।
সাম্প্রতিককালে বহুবার অরুণাচল হাতাতে চক্রান্ত চালিয়েছে লাল ফৌজের সেনা। হামলা চালিয়েছে গালওয়ানে। কিন্তু লাভের লাভ তুলতে পারেনি তারা। তাই এবার ঘুরপথেই ভারতের বিরুদ্ধে আসরে নেমেছে শি জিনপিংয়ের সরকার।

