নয়া দিল্লি: সীমান্ত বিরোধ এখনও জারি রয়েছে, তারই মধ্যে আরও বিতর্কের উসকে দিল চিন। বুধবারই একটি বেসরকারি গোয়েন্দা সংস্থার তরফে জানানো হয়, চিনের মদতপ্রাপ্ত হ্যাকাররা ভারতের বিদ্যুৎ সরবরাহ কেন্দ্রকে নিশানা বানিয়েছে। বিগত কয়েক মাসে লাদাখে ওই বিদ্যুৎ সরবরাহ কেন্দ্র হ্যাক করার চেষ্টা করেছে তারা। ২০২০ সালে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা নিয়ে ভারত-চিনের মধ্যে যে বিরোধ শুরু হয়েছিল, রেকর্ডেড ফিউচার নামক ওই গোয়েন্দা সংস্থার তরফে এই হ্যাকিংয়ে চেষ্টার কথা ফের একবার সেই বিরোধেই ইন্ধন জুগিয়েছে।
রেকর্ডেড ফিউচার নামক ওই গোয়েন্দা সংস্থার তরফে বলা হয়েছে, “বিগত কয়েক মাস ধরেই আমরা নেটওয়ার্কে কিছু বিভ্রাট নজরে এসেছিল। কমপক্ষে সাতটি ভারতীয় স্টেট লোড ডেসপ্যাচ সেন্টার, যেখান থেকে রাজ্যগুলির গ্রিড কন্ট্রোল ও বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়, সেগুলিকেই নিশানা বানানো হয়েছে। বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলিকে উত্তর ভারত থেকেই হ্যাক করার চেষ্টা করা হয়েছে, মূলত লাদাখের কাছে ভারত-চিন সীমান্তের কাছ থেকেই ওই হ্যাকাররা বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলি হ্যাক করার চেষ্টা করা হয়েছিল।”
গোয়েন্দা সংস্থার তরফে আরও জানানো হয়েছে, বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলির পাশাপাশি জাতীয় এমার্জেন্সি রেসপন্স সিস্টেম ও বেশ কয়েকটি মাল্টিন্যাশনাল সংস্থার গোপন নথিও হাতানোর চেষ্টা করেছে। চিনা হ্যাকাররা ভারতের গুরুত্বপূর্ণ পরিকাঠামো ব্যবস্থা নিয়ে তথ্য হাতানোর চেষ্টা করছিল বলেই দাবি। সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় সরকারকে গোটা বিষয়টি জানানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, ভারত ও চিনের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরেই সীমান্ত নিয়ে টানাপোড়েন চলছে। ২০২০ সালে পূর্ব লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা পার করে ভারতের জমি দখল করার চেষ্টা করে চিন, এরপরই বিরোধ চরমে ওঠে। গালওয়ানে ভারতীয় সেনাবাহিনীর সঙ্গে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধও হয়। সংঘর্ষে ২০ জন ভারতীয় জওয়ানের মৃত্যু হয়। অন্যদিকে, চিনেরও বহু সৈন্যের মৃত্যু হয়। এরপরই ভারত ও চিনের মধ্যে দফায় দফায় কূটনৈতিক ও সামরিক স্তরে বৈঠক হয়। সম্প্রতিই চিনের বিদেশমন্ত্রী ভারত সফরে এসেছিলেন, তখনও ভারত ও চিনের মধ্যে দ্রুত সমাধানসূত্রের কথা আলোচনা করা হয়েছিল।