নয়া দিল্লি: এবার সিভিক ভলান্টিয়ারদের নিয়ে বড় নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের। কোন পদ্ধতিতে সিভিক ভলেন্টিয়ারদের নিয়োগ করা হয় তা জানতে চাইলেন প্রধান বিচারপতি। প্রসঙ্গত, আরজি কর কাণ্ডে শুরু থেকেই প্রশ্ন উঠেছে এক সিভিক ভলান্টিয়ারের ভূমিকা নিয়ে। মূল অভিযুক্ত হিসাবে একজনকে গ্রেফতারও করে পুলিশ। যদিও বীভৎস ওই কাজ তিনি যে একা করতে পারেন তা মানতে নারাজ অনেকেই। বারবার সুর চড়িয়েছেন ডাক্তাররা। প্রশ্ন তুলেছেন ফরেন্সিক এক্সপার্টরাও। সন্দেহ দানা বেঁঁধেছে নাগরিক মহলের বড় অংশের মধ্যে। কিন্তু, কিছুদিন আগেই সদ্য জমা দেওয়া চার্জশিটে ধৃত সিভিককেই মূল অভিযুক্ত হিসাবে দেখিয়েছে সিবিআই। যদিও তা নিয়ে চাপানউতোর চলছে নানা মহলে।
এরইমধ্যে এবার সিভিকদের নিয়ে কৌতূহলী হতে দেখা গেল দেশের শীর্ষ আদালতকে। কোন পদ্ধতিতে সিভিক ভলেন্টিয়ারদের নিয়োগ করা হয়, সিভিক ভলেন্টিয়ারদের নিয়োগকারী কে, কোন আইন বলে করা নিয়োগ হয়, মোট কত সিভিক ভলেন্টিয়ার আছে, কোথায় কোথায় তাদের নিয়োগ করা হয়েছে, কিভাবে তাদের ভেরিফিকেশন করা হচ্ছে সেই বিষয়ে হলফনামা দিয়ে জানাতে হবে রাজ্য সরকারকে। এদিনই এমনই নির্দেশ দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়।
পাশাপাশি হাসপাতাল এবং স্কুলের মত সংবেদনশীল জায়গায় সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়োগ করা যাবে না। এই নির্দেশও দিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত। এরইমধ্য়ে রাত্রের সাথী প্রকল্পে সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়োগ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করতে দেখা যায় আইনজীবী করুণা নন্দীকে। তাঁর অভিযোগ, এই প্রকল্পে সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়োগের মাত্রা দ্বিগুণ হয়ে গিয়েছে। যদিও রাজ্য় সরকারের দাবি, সবটাই নিয়ম মেনে হয়েছে। প্রাইভেট সিকিউরিটি এজেন্সিস রেগুলেশন অ্যাক্ট, ২০০৫ এর ক্ষমতাবলেই চলেছে নিয়োগ প্রক্রিয়া।