চেন্নাই: ফের পড়ুয়ার রহস্যমৃত্যু। তামিলনাড়ুতে একের পর এক স্কুল পড়ুয়ার মৃত্যুর খবর। এবার শিবকাশীর বাসিন্দা একাদশ শ্রেণির এক পড়ুয়ার দেহ উদ্ধার করা হল তাঁর বাড়ি থেকে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের সন্দেহ, আত্মহত্যা করেছে ওই পড়ুয়া। এই নিয়ে পরপর দুই সপ্তাহে ৪ জন পড়ুয়ার মৃত্যু হল রহস্যজনক কারণে। গোটা ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে রাজ্যে।
জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার তামিলনাড়ুর শিবকাশি জেলার আয়ামবাট্টি থেকে এক ১৭ বছরের কিশোরীর দেহ উদ্ধার করা হয়। বাড়িতেই গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে একাদশ শ্রেণির ওই পড়ুয়া, প্রাথমিক তদন্তের পর এমনটাই জানিয়েছে পুলিশ। ওই কিশোরী তাঁর মা-বাবা ও ঠাকুমার সঙ্গেই থাকত। তাঁর মা-বাবা দিনমজুর। প্রতিদিন সকালেই তারা কাজে বেরিয়ে যান। জানা গিয়েছে, মঙ্গলবারও মেয়ে স্কুলে চলে যাওয়ার পর তারা কাজে যান। স্কুল থেকে যখন ওই কিশোরী বাড়ি ফেরে, তখন তাঁর ঠাকুমা উপস্থিত ছিল। কিন্তু বিশেষ দরকারে তিনিও কিছুক্ষণের জন্য বাড়ি থেকে বের হন। বাড়িতে ফিরেই তিনি দেখতে পান, নাতনি গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। সঙ্গে সঙ্গে তিনি প্রতিবেশীদের ডাকেন, তারা পরে পুলিশে খবর দেয়।
পুলিশের কাছ থেকে জানা গিয়েছে, কিশোরীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হলেও, তার কাছ থেকে কোনও সুইসাইড লেটার উদ্ধার হয়নি। পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা গিয়েছে, প্রায়সময়ই পেটে অসহ্য যন্ত্রণা হত ওই কিশোরীর। এছাড়া কোনও সমস্য়াই ছিল না তাঁর।
তামিলনাড়়ুতে একের পর এক পড়ুয়ার রহস্যমৃত্য়ু ঘিরেই সন্দেহ দানা বেঁধেছে। বিগত দুই সপ্তাহে এই নিয়ে চারজন পড়ুয়ার রহস্যজনক মৃত্য়ু হল। এর আগে দ্বাদশ শ্রেণির তিন পড়ুয়ার দেহ উদ্ধার হয়েছে। একদিন আগেই কাড্ডালোর জেলায় এক দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়ার দেহ উদ্ধার হয়। তাঁর কাছ থেকে চার পাতার একটি সুইসাইড নোটও উদ্ধার করা হয়। ওই চিঠিতে কিশোরী জানিয়েছিল, তাঁকে আইএএস বানানোর যে স্বপ্ন দেখেছে তাঁর মা-বাবা, তা পূরণ করা সম্ভব নয় বলেই আত্নহত্যা করছে।