শাহজাহানপুর: রাস্তার গবাদি পশুরা রাতে ফসল খেয়ে চলে যায়। সেজন্য বাবার সঙ্গে জমি পাহারা দিচ্ছিল ক্লাস ফাইভের পড়ুয়া। কিন্তু, কে জানত, সেই জমি পাহারা দিতে গিয়েই প্রাণ হারাতে হবে তাকে। স্থানীয় গ্রামবাসীর গুলিতে প্রাণ গেল তার। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর প্রদেশের শাহজাহানপুরের তিলহার পুলিশ স্টেশন এলাকায়।
পুলিশ জানিয়েছে, বাবুপুর গ্রামে বুধবার রাতে জমি পাহারা দিচ্ছিলেন রাম খিলাওয়ান নামে এক কৃষক। রাতে তাঁকে খাবার দিতে আসে তাঁর বছর বারোর পুত্র রঞ্জিত। তারপর বাবার সঙ্গে জমি পাহারা দিতে রয়ে যায়।
শাহজাহানপুর গ্রামীণের এএসপি মনোজ কুমার অবস্তী বলেন, “রাত দেড়টা নাগাদ পুলিশের কাছে একটি ফোন আসে। পুলিশ গিয়ে দেখে, এক নাবালক জমির কাছে পড়ে রয়েছে। তার পেটে গুলি লাগে। অভিযুক্ত বীরপাল জানান, ভুলবশত গুলি চালিয়েছেন তিনি। বছর বাহান্নর বীরপাল ওই গ্রামে একটি বেসরকারি স্কুলের ম্যানেজার। তাঁকে ও তাঁর ছেলে আকাশকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে একটি আগ্নেয়াস্ত্র।”
বীরপাল ও আকাশ দাবি করেন, তাঁরা রঞ্জিতকে চোর বলে সন্দেহ করেছিলেন। সেজন্যই তাঁকে লাইসেন্সপ্রাপ্ত বন্দুক থেকে গুলি চালান। সেই গুলি রঞ্জিতের পেটে লাগে।
ছেলের মৃত্যুতে শোকগ্রস্ত রাম খালিওয়ান বলেন, “আমার ছেলে রাস্তার গবাদি পশুদের তাড়িয়ে নিয়ে যাচ্ছিল। স্কুলের সামনে পৌঁছনোর পর আমি একটা গুলির শব্দ শুনতে পাই। আমার ছেলে চিৎকার করে ওঠে। আমার দিকে কয়েক পা এগিয়ে এসেই রাস্তায় পড়ে যায়।” বলতে বলতে কান্নায় ভেঙে পড়েন রাম খালিওয়ান।