Karnataka Rain: বৃষ্টি ও জমা জলে ২২৫ কোটির ক্ষয়ক্ষতি, আইটি কোম্পানিগুলির সঙ্গে আলোচনায় বসার আশ্বাস মুখ্যমন্ত্রীর

TV9 Bangla Digital | Edited By: অরিজিৎ দে

Sep 05, 2022 | 12:21 PM

Bengaluru Flood: বেঙ্গালুরুর অন্য এক বাসিন্দা সংবাদ সংস্থাকে জানিয়েছেন, প্রত্যেক বছর এই পরিস্থিতি তৈরি হয় এবং খারাপ নিকাশী ব্যবস্থার কারণে পাম্প ব্যবহার করে তাদের জল সরাতে হয়।

Karnataka Rain: বৃষ্টি ও জমা জলে ২২৫ কোটির ক্ষয়ক্ষতি, আইটি কোম্পানিগুলির সঙ্গে আলোচনায় বসার আশ্বাস মুখ্যমন্ত্রীর
ছবি সৌজন্যে : ANI

Follow Us

বেঙ্গালুরু: দেশের অন্যতম বড় তথ্য প্রযুক্তি কেন্দ্র কর্নাটকের রাজধানী বেঙ্গালুরুতে বৃষ্টির জমা জলের কারণে তথ্য-প্রযুক্তি সংস্থাগুলির বিস্তর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সব মিলিয়ে মোট ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ২২৫ কোটি টাকা। তথ্য-প্রযুক্তি সংস্থাগুলির এই বিপুল ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে আলোচনার আশ্বাস দিলেন কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাই। বোম্মাই জানিয়েছেন, বৃষ্টি ও জমা জলের কারণে হওয়া ক্ষয়ক্ষতি ও ক্ষতিপূরণ নিয়ে তথ্য প্রযুক্তি সংস্থাগুলির সঙ্গে তিনি আলোচনা করবেন। সংবাদ সংস্থা এএনআইকে বোম্মাই বলেন, “আমার তথ্য প্রযুক্তি সংস্থাগুলিকে ডাকব এবং জমা জলের কারণে তারা যে সমস্যার মুখোমুখি হয়েছেন সেই নিয়ে আলোচনা করব। এমনকী বৈঠকে ক্ষতিপূরণের বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা করা হবে।” আইটি সংস্থাগুলির তরফে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আউটার রিং রোডের সমস্যার সমাধান করতে বলা হয়েছিল। তারপরই মুখ্যমন্ত্রীর তরফে এই আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।

সোমবারই অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতের কারণে বেঙ্গালুরুর বিস্তীর্ণ এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়ে। রাস্তাঘাটে মারাত্মকভাবে জল জমে যাওয়ার কারণে ট্রাফিক জ্যাম তৈরি হয়েছে এবং কোরামঙ্গল সহ শহরের বিভিন্ন এলাকার সঙ্গে যোগাযোগ ব্যাহত হয়েছে। স্থানীয় এক বাসিন্দা সংবাদ সংস্থা এএনআইকে এই প্রসঙ্গে বলেন, “প্রচুর পরিমাণে বৃষ্টি হয়েছে। আমরা সকালে উঠে দেখি চারিদিকে জল জমে গিয়েছে। রাস্তার ডিভাইডারও জলে ঢেকে গিয়েছে। এর পরে, আমরা রাস্তা এবং বেসমেন্ট থেকে জল পাম্প করা শুরু করি। আমার পুরো বেসমেন্ট জলে ডুবে গিয়েছে।”

বেঙ্গালুরুর অন্য এক বাসিন্দা সংবাদ সংস্থাকে জানিয়েছেন, প্রত্যেক বছর এই পরিস্থিতি তৈরি হয় এবং খারাপ নিকাশী ব্যবস্থার কারণে পাম্প ব্যবহার করে তাদের জল সরাতে হয়। তিনি বলেন, “প্রত্যেক বছর বৃষ্টির কারণে এইভাবে জল জমে যায় এবং আমাদের পাম্প করে সেই জল বের করতে হয়। কোনও স্থায়ী সমাধান নেই। যখন রাস্তা তৈরি করা হয়েছিল তখন যথাযথ নিকাশী ব্যবস্থা তৈরি করা হয়নি। এর ফলে বাসিন্দাদের সমস্যার মধ্যে পড়তে হচ্ছে। অনেকে মহিলা পা পিছলে জলে পড়ে যাচ্ছেন।” উল্লেখ্য, চলতি বছর জুলাই মাসে অতিবৃষ্টির কারণে কর্নাটকে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। এরপর উদ্ধারকাজ শুরু হয়। বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে আর্থিক সাহায্য চেয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী বোম্মাই।

Next Article