নয়া দিল্লি: আগামী ১০ মার্চ কয়লাকাণ্ডের (Coal Scam) মূল চাঁই অনুপ মাজি ওরফে লালা-মামলার শুনানির দিন ধার্য করল সুপ্রিম কোর্ট। কয়লাকাণ্ডে লালাই যে কিংপিন বারবার সে দাবিই তুলেছে সিবিআই। কেন্দ্রীয় এই গোয়েন্দা সংস্থা লালার বিরুদ্ধে এফআইআরও করেছে। পাল্টা লালাও সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানান। সেই মামলারই শুনানি ছিল সোমবার। সবপক্ষের বক্তব্যের ভিত্তিতেই এদিনের শুনানি।
সিবিআইয়ের দায়ের করা মামলায় বলা হয়, পশ্চিমবঙ্গে কয়লার অবৈধ খনন ও পরিবহণে প্রচুর গোলমাল রয়েছে। এই ঘটনায় প্রভাবশালী বহু লোকের যেমন হাত রয়েছে, তেমনই বহু সংস্থারও যোগ রয়েছে বলেই মনে করছে তারা। এ বিষয়ে তারা বারবার লালাকে নাগালে চেয়েও এখনও অবধি ধরে উঠতে পারেনি। যদিও মাথাকে হাতে না পেয়ে আপাতত চলছে কান টানা। ইতিমধ্যেই বিনয় মিশ্র, গণেশ বাগাড়িয়া, রণধীর বার্নওয়ালকে স্ক্যানারে এনেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
আরও পড়ুন: এবার কয়লাকাণ্ডে সিবিআইয়ের স্ক্যানারে একাধিক আইপিএস কর্তা, নামের তালিকা তৈরি হলেই তলব
বিনয় মিশ্র পলাতক হলেও তাঁর ভাই বিকাশ মিশ্রকে দফায় দফায় জেরা করা হয়েছে। গণেশ বাগাড়িয়ার বাড়িতে চলেছে তল্লাশি। রণধীর বার্নওয়ালেরও বাড়ি, অফিসে চলেছে অভিযান। সূত্রের খবর, এরা প্রত্যেকেই লালার তুরুপের তাস। প্রভাবশালী যোগের মাধ্যম। বিনয়ের ভাইকে জিজ্ঞাসা করার পরই নোটিস গিয়েছিল তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায় নারুলার কাছে। রণধীরকে জেরা করার পরই বেশ কয়েকজন পুলিশ আধিকারিকের নাম উঠে এসেছে বলে সিবিআই সূত্রে খবর।