Same Gender Marriage: বিবাহের স্বীকৃতির বদলে সমকামীদের সামাজিক সুবিধা দিতে রাজি কেন্দ্র, তৈরি হবে কমিটি

TV9 Bangla Digital | Edited By: অমর্ত্য লাহিড়ী

May 03, 2023 | 4:31 PM

Same Gender Marriage Case: এলজিবিটিকিউআইএ প্লাস সম্প্রদায়ের ‘প্রকৃত মানবিক উদ্বেগগুলি’ বিবেচনা করার জন্য একটি কমিটি গঠন করবে কেন্দ্র। বুধবার (৩ মে), সুপ্রিম কোর্টকে জানালেন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা।

Same Gender Marriage: বিবাহের স্বীকৃতির বদলে সমকামীদের সামাজিক সুবিধা দিতে রাজি কেন্দ্র, তৈরি হবে কমিটি
প্রতীকী ছবি

Follow Us

নয়া দিল্লি: এলজিবিটিকিউআইএ প্লাস সম্প্রদায়ের ‘প্রকৃত মানবিক উদ্বেগগুলি’ বিবেচনা করার জন্য একটি কমিটি গঠন করবে কেন্দ্র। বুধবার (৩ মে), সুপ্রিম কোর্টকে জানালেন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা। এদিন, সুপ্রিম কোর্টে সমকামী বিবাহের জন্য আইনি মর্যাদা চেয়ে আবেদনের শুনানি ফের শুরু হল। কেন্দ্রের পক্ষে আদালতে উপস্থিত হয়ে তুষার মেহতা জানান, যৌথ ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলা, বিমা পলিসির জন্য মনোনীত অংশীদার যোগ করার মতো, সমকামী দম্পতিরা দৈনন্দিন জীবনে যে সমস্ত সমস্যার মুখে পড়েন, ‘মানবিক উদ্বেগ’ বলতে সেগুলির কথা বলা হয়েছে। তিনি আরও জানিয়েছেন, এই কমিটির নেতৃত্বে থাকবেন মন্ত্রিসভার এক সচিব। ২৭ এপ্রিল সুপ্রিম কোর্ট, কেন্দ্রীয় সরকারকে জিজ্ঞাসা করছিল, সমকামী বিবাহকে বৈধ করার প্রশ্নে না গিয়েই কি সমকামী দম্পতিদের জন্য সামাজিক সুবিধা বাড়ানো যেতে পারে? সেই প্রশ্নের জবাবেই এই কমিটি গঠন করার কথা জানাল কেন্দ্র।

আবেদনকারীদের পক্ষের আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি জানান, কমিটি গঠনের থেকেও অনেক বেশি কিছু করতে হবে। আইনের বদল দরকার। জবাবে সাংবিধানিক বেঞ্চের অন্যতম সদস্য বিচারপতি হিমা কোহলি বলেন, “একবারে এক এক পা করেই এগোনো উচিত। শুনানি চলাকালীন কেন্দ্র এই কথা জানিয়েছে।” প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় বলেন, “সলিসিটর জেনারেল মেনে নিয়েছেন, দুটি মানুষের একসঙ্গে বসবাস করার অধিকার আছে এবং এই সামাজিক বাস্তবতার উপর ভিত্তি করে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট, পিএফ, বিমা ইত্যাদির সুবিধা পাওয়া যেতে পারে। কাজেই, এটা আপনার জন্য এক ধাপ অগ্রগতি।”

এলজিবিটিকিউআইএ প্লাস সম্প্রদায়ের উদ্বেগগুলি বিবেচনার জন্য কমিটি গঠন করার কথা জানালেও, এদিন আদালতে সলিসিটর জেনারেল জানান, বিবাহের স্বীকৃতি মৌলিক অধিকার নয়। তিনি বলেন, “একটি নির্দিষ্ট সম্পর্ককে বিবাহ বলে স্বীকৃতি পাওয়ার অধিকার, কোনও মৌলিক অধিকার নয়। সমাজে বহু সামাজিক সম্পর্ক রয়েছে। আইন সেগুলির সবকটিকে নিয়ন্ত্রণ করে না।” তিনি আরও জানান, রাষ্ট্রীয় স্বার্থ ছাড়া ব্যক্তিগত সম্পর্কগুলি নিয়ন্ত্রণের রাস্তায় যায়নি কোনও দেশই। এমনকী বিপরীত লিঙ্গের দম্পতিদের ক্ষেত্রেও অন্তরঙ্গ সম্পর্ককে সরকার স্বীকৃতি দেয় না। বিবাহকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে এবং নিয়ন্ত্রণ করা হয়। কারণ, কাকে বিয়ে করতে হবে, কীভাবে বিয়ে করতে হবে, কে সন্তানদের যত্ন নেবে, ভরণপোষণের দায়িত্ব নেবে – এই ধরণের প্রশ্নগুলির স্পষ্টতা প্রয়োজন বলে মনে করেছে রাষ্ট্র। জবাবে প্রধান বিচারপতি জানান, আবেদনকারীরা কখনই বলেনি যে তাদের বিবাহের স্বীকৃতি দেওয়াটা রাষ্ট্রের কর্তব্য। তাদের দাবি, তাদের বিবাহকে আইনি স্বীকৃতি না দিয়ে তাদের সঙ্গে বৈষম্যমূলক আচরণ করা হচ্ছে।

Next Article