জয়পুর : কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচন ঘিরে রাজস্থান কংগ্রেসের অন্দরের ভেদাভেদ প্রকাশ্যে এসেছে। রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রীর অশোক গেহলটের সভাপতি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার কথা উঠতেই মুখ্যমন্ত্রীর গদি ছাড়ার প্রসঙ্গ ওঠে। আর তাঁর উত্তরসূরীর মুখের খোঁজে শুরু হয় দ্বন্দ্ব। সচিন পাইলটের নাম উঠতেই গেহলট অনুগামী ৯২ জন বিধায়ক ইস্তফার দেওয়ার হুমকি দেন। ফলে সরকার পড়ে যাওয়ারও সম্ভাবনা উঁকি দেয়। তবে এই ঘটনায় তাঁর কোনও দায় নেই বলে জানিয়ে দেন গেহলট। তবে এবার নিজের অনুগামীদের পাশে দাঁড়ালেন তিনি। এদিন অশোক গেহলট বলেছেন,২০২০ সালে দলের অন্দরে বিদ্রোহের সময় এই বিধায়করা সরকার পড়ে যাওয়া থেকে বাঁচিয়েছিলেন। তিনি সেই ১০২ বিধায়ককে ঠকাতে পারেন না।
এদিকে রাজস্থানে গেহলট অনুগত বিধায়কদের গান্ধীদের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে বিদ্রোহের কারণে গেহলটের মুখ্যমন্ত্রীর পদ নিয়ে টানাটানি শুরু হয়েছে। জানা গিয়েছে, গেহলটের উপর কংগ্রেসের হাই কম্যান্ড ক্ষুণ্ণ রয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রীর গদি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে এদিন তিনি জানিয়েছেন, এই বিষয়ে যা সিদ্ধান্ত সব দলের হাই কম্যান্ডই নেবেন। তিনি বলেন,’আমি আমার কাজ করছি এবং যদি কোনও সিদ্ধান্ত নিতে হয় তা পার্টি হাই কম্যান্ডই নেবে।’ তবে জনসাধারণের মধ্যে গেহলটের জনপ্রিয়তা দেখে মনে হয় তিনিই মুখ্যমন্ত্রী পদে বহাল থাকবেন।
এদিকে ২০২০ সালে তাঁর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করা বিধায়কদের আক্রমণ করে তিনি বলেন, তাঁরা বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়েছিলেন। তিনি বলেন,”আমাদের কিছু বিধায়ক অমিত শাহ,ধর্মেন্দ্র প্রধান এবং অন্যান্য নেতাদের সঙ্গে দেখা করেছিলেন। অমিত শাহ আমাদের বিধায়কদের মিষ্টি উপহার দিচ্ছিলেন। তাই আমি কীভাবে সেই ১০২ জন বিধায়ককে ভুলে যাব যারা কংগ্রেস সরকারকে বাঁচিয়েছিলেন।” তিনি আরও বলেন, “রাজনৈতিক সংকটের সময়ই হোক বা করোনার সময় যখনই আমার প্রয়োজন হয়েছে তখনই আমি জনসমর্থন পেয়েছি। তাই তাদের থেকে আমি কীভাবে দূরে থাকব।”
সচিন পাইলটের নাম না নিয়ে এদিন গেহলট ইঙ্গিত দিয়েছেন, দল বিরোধী কার্যকলাপের জন্য তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত করা উচিত। তবে তিনি এও বলেছেন রাজ্যে নতুন মুখ্যমন্ত্রীর নাম নিয়ে কেন বিধায়কদের মধ্যে অসন্তোষ ছিল তা খতিয়ে দেখা উচিত। তিনি এদিন সাংবাদিকদের বলেন,”আমি জয়সলমীরে ছিলাম। আমি অনুমান করতে পারিনি কিন্তু বিধায়করা বুঝতে পেরেছিলেন যে কে হতে চলেছেন নতুন মুখ্যমন্ত্রী।”