নয়া দিল্লি: আগামী ৩০ জানুয়ারি জম্মু ও কাশ্মীরের শ্রীনগরে শেষ হচ্ছে ভারত জোড়ো যাত্রা। যাত্রার এই সমাপ্তি অনুষ্ঠানে ২১টি সমমনস্ক দলকে আমন্ত্রণ জানালো জাতীয় কংগ্রেস। বুধবার সন্ধ্যায় কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে এই ২১ দলের সভাপতিদের চিঠি লিখে বলেছেন, এই যাত্রা থেকে তাঁরা সত্য, সহানুভূতি এবং অহিংসার বার্তা দিতে চেয়েছেন। ২১টি দলের নেতারা যদি শ্রীনগরে যাত্রার সমাপ্তি অনুষ্ঠানে যোগ দেন, তাহলে সেই বার্তাই আরও জোরদার ভাবে দেওয়া যাবে। তিনি আরও বলেছেন, যাত্রা কর্মসূচির শুরু থেকেই কংগ্রেস চেয়েছে যে, প্রতিটি সমমনস্ক দল এই যাত্রায় অংশগ্রহণ করুক। রাহুল গান্ধীর আমন্ত্রণে যাত্রার বিভিন্ন পর্যায়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সাংসদরা এই কর্মসূচিতে যোগও দিয়েছেন।
৩০ জানুয়ারি মহাত্মা গান্ধীর মৃত্যুদিন। ভারত জোড়ো যাত্রার সমাপ্তি অনুষ্ঠানটি গান্ধীকেই উৎসর্গ করছে কংগ্রেস। চিঠিতে মল্লিকার্জুন খাড়্গে লিখেছেন, “৩০ জানুয়ারি দুপুরে শ্রীনগরে অনুষ্ঠিত ভারত জোড়ো যাত্রার সমাপ্তি অনুষ্ঠানে ব্যক্তিগতভাবে যোগ দেওয়ার আপনাদের আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। অনুষ্ঠানটি মহাত্মা গান্ধীর স্মরণে উৎসর্গ করা হয়েছে। এই দিনেই ঘৃণা ও হিংসার আদর্শের বিরুদ্ধে তাঁর অক্লান্ত লড়াইয়ে তিনি প্রাণ হারিয়েছিলেন। এই অনুষ্ঠানে, আমরা ঘৃণা ও হিংসার বিরুদ্ধে লড়াই করার, সত্য, সহানুভূতি ও অহিংসার বার্তা ছড়িয়ে দেওয়ার এবং সবার জন্য স্বাধীনতা, সাম্য, ভ্রাতৃত্ব এবং ন্যায়বিচারের সাংবিধানিক মূল্যবোধ রক্ষা করার অঙ্গীকার করব। এই সংকটের সময়ে, যখন পরিকল্পিতভাবে জনগণের সমস্যা থেকে জনসাধারণের মনোযোগ সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে, তখন এই যাত্রা আমাদের দেশের জন্য একটি শক্তিশালী কণ্ঠস্বর হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে।”
যে ২১টি ,সমমনস্ক দলকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে কংগ্রেস, তারা হল – তৃণমূল কংগ্রেস, জেডিইউ, শিবসেনা, তেলুগু দেশম পার্টি, সমাজবাদী পার্টি, বহুজন সমাজবাদী পার্টি, ডিএমকে, সিপিআই, সিপিআইএম, ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা, আরএলএসপি, এইচএএম, পিডিপি, এনসিপি, এমডিএমকে, ভিসিকে, ইন্ডিয়ান ইউনিয়ন মুসলিম লিগ, কেএসএম, আরএসপি। ন্যাশনাল কনফারেন্সের ফারুক এবং ওমর আবদুল্লা, দুজনকেই আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। একইভাবে, আরজেডির তেজস্বী ও লালুপ্রসাদ যাদব দুজনকেই আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। আমন্ত্রিত শরদ যাদবও।
২০২২ সালের ৭ সেপ্টেম্বর তামিলনাড়ুর কন্যাকুমারী থেকে শুরু হয়েছিল ভারত জোড়ো যাত্রা। তারপর থেকে এই পদযাত্রা তামিলনাড়ু, কেরল, কর্ণাটক, অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলঙ্গানা, মহারাষ্ট্র, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ এবং হরিয়ানার মধ্য দিয়ে ৩,৩০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়েছে। ৩০ জানুয়ারি শ্রীনগরে শেষ হবে যাত্রা। রাহুল গান্ধী জাতীয় পতাকা উত্তোলন করবেন। খাড়্গে চিঠিতে আরও লিখেছেন, “আজ ভারত অর্থনৈতিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক সঙ্কটের সম্মুখীন। সংসদে এবং সংবাদমাধ্যমে বিরোধীদের কণ্ঠ দমন করা হচ্ছে। এই সময়ে যাত্রা লক্ষাধিক মানুষের সঙ্গে সরাসরি সংযোগ করছে।”