P Chidambaram: ‘পাইকারি ক্রেতা একদিন সব বিধায়ক কিনে নেবে’, কাকে নিশানা করলেন চিদম্বরম?

TV9 Bangla Digital | Edited By: অরিজিৎ দে

Sep 15, 2022 | 7:11 AM

Congress: দলবদল নিয়ে একের পর টুইটে বিজেপিকে কটাক্ষ করে চিদম্বরম লেখেন, "বিধায়ক কেনাবেচা গোয়ার রাজনীতির সব থেকে বড় অভিশাপ।

P Chidambaram: পাইকারি ক্রেতা একদিন সব বিধায়ক কিনে নেবে, কাকে নিশানা করলেন চিদম্বরম?
ছবি: ফাইল চিত্র

Follow Us

নয়া দিল্লি: গতকালই গোয়াতে ১১ জন কংগ্রেস বিধায়কের মধ্যে ৮ জন হাতে বিজেপির পতাকা তুলে নিয়ে নিয়েছেন। এই নিয়ে মুখ খুললেন দেশের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী তথা প্রবীণ কংগ্রেস নেতা পি চিদম্বরম। বিজেপিকে কটাক্ষ করে তিনি জানিয়েছেন, ২০১৪ সাল থেকে ভারতীয় বাজারে এক ‘পাইকারি ক্রেতা’ রয়েছে এবং একদিন তাঁরা মানুষকে বোকা বানিয়ে সব বিধায়কদের কিনে নেবে। গোয়া কংগ্রেসের যে ৩ বিধায়ক তাদের সহকর্মীদের সঙ্গে দলবদল করেননি, তাদের প্রশংসাও শোনা গিয়েছে প্রবীণ কংগ্রেস নেতার গলায়। গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দিগম্বর কামাতের নেতৃত্বে ৮ কংগ্রেস বিধায়ক বিজেপিতে যোগদান করলেও কার্লোস ফেরেইরা, ইউরি আলেমাও এবং অল্টোন ডি’কস্টা কংগ্রেসেই রয়ে গিয়েছেন। বিধায়কদের দলত্যাগ নিঃসন্দেহে শতাব্দীপ্রাচীন দলের কাছে বড় ধাক্কা।

দলবদল নিয়ে একের পর টুইটে বিজেপিকে কটাক্ষ করে চিদম্বরম লেখেন, “বিধায়ক কেনাবেচা গোয়ার রাজনীতির সব থেকে বড় অভিশাপ। ২০১৪ সাল থেকে এক পাইকারি ক্রেতা দেশের সব বিধায়কদের কিনে নেবে। সব বিধায়কদের কেনা হয়ে গেলে ভোটাররা কী করবে?” যেখানে একের পর এক প্রবীণ কংগ্রেস নেতা দলের নীতি ও নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন, সেখানে চিদম্বরমকে দলের হয়ে সওয়াল করতে দেখা গিয়েছে। টুইটে তিনি লেখেন, “একটি দল অভিজ্ঞদের প্রার্থী করতে পারে, নতুন মুখদের সুযোগ দিতে পারে, শিক্ষিতদের সামনে তুলে আনতে পারে। যদি নির্বাচনে তাঁরা জয়ী হন এবং পাইকারি ক্রেতা যে কোনও মূল্যে তাদের কিনে নেয়, তবে দল কী করতে পারে?” উল্লেখ্য চলতি বছর গোয়া বিধানসভা নির্বাচনে দলের তরফে চিদম্বরমকে পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল।

কংগ্রেসের যে তিন বিধায়ক দল বদল করেননি, তাদের প্রশংসা করে প্রবীণ কংগ্রেস নেতা লেখেন, “কার্লোস ফেরেইরা, ইউরি আলেমাও এবং অল্টোন ডি’কস্টা নিজেদের সিদ্ধান্তে অনড় থেকেছেন এবং বিধায়ক পদকে গর্বিত করেছেন। দল, ভগবান ও সাধারণ মানুষের প্রতি আনুগত্যকে আমি কুর্ণিশ জানাই। ভগবান ও গোয়ার মানুষ যেন তাদের আশীর্বাদ করেন।” উল্লেখ্য, জানুয়ারি মাসে গোয়ার কংগ্রেস প্রার্থীরা মন্দির, গির্জা ও মসজিদে দাঁড়িয়ে শপথ নিয়েছিলেন যে কোনওভাবেই নির্বাচনের পর তাঁরা দলবদল করবেন না। সেই সময় কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীও সেখানে উপস্থিত ছিলেন। ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে দলকে শক্তিশালী করতে বিজেপি ও আরএসএসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে যেখানে রাহুল ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’ করেছেন, সেখানে বিধায়কদের এই দলত্যাগ নিঃসন্দেহে কংগ্রেসের অস্বস্তি বাড়াল বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

Next Article