নয়া দিল্লি: যত দিন গড়াচ্ছে, ততই চাপ বাড়ছে রাহুল গান্ধীর উপরে। ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় বেআইনি আর্থিক লেনদেন সম্পর্কে জানতে বারবার তলব করা হচ্ছে ইডির দফতরে। মঙ্গলবার হাজিরার পঞ্চমদিন ছিল। প্রায় সাড়ে নয় ঘণ্টা ধরে জেরা চলার পর বাড়ি যান রাহুল গান্ধী। কিন্তু রাতেই ফের তলব করা হয় ইডির দফতরে। সব মিলিয়ে মোট ১২ ঘণ্টা জেরা করা হয় রাহুলকে। এই নিয়ে বিগত এক সপ্তাহে ৫০ ঘণ্টারও বেশি জেরা করা হল ওয়েনাডের সাংসদকে। ফের তাঁকে তলব করতে পারে ইডি, এমনটাই সূত্রের খবর।
গত সপ্তাহের সোমবার থেকে ইডির দফতরে হাজিরা দেওয়া শুরু করেছিলেন রাহুল গান্ধী। সোম থেকে বুধ, টানা তিন দিনে ৩০ ঘণ্টা জেরা করা হয় রাহুলকে। একদিনের বিরতির পর শুক্রবার ফের হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল রাহুলের। কিন্তু মায়ের অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে তিনি জানান, সোমবারের আগে কোনভাবেই হাজিরা দেওয়া সম্ভব নয়। চলতি সপ্তাহের সোমবার হাজিরার পর মঙ্গলবারও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয় কংগ্রেস নেতাকে। প্রায় ৯ ঘণ্টা জেরার পর রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। ইডির দফতর থেকে নিয়ে যেতে এসেছিলেন বোন প্রিয়ঙ্কা গান্ধী। তাঁর সঙ্গে বাড়িতে পৌছনোর কিছুক্ষণের মধ্যেই ফের ইডির দফতরে তলব করা হয় রাহুলকে, এমনটাই সূত্রের খবর। জানা গিয়েছে, সব মিলিয়ে প্রায় ১২ ঘণ্টা জেরা করা হয়েছে রাহুল গান্ধীকে।
এদিকে, ইডি সূত্রে খবর, প্রশ্ন করতে নয়, রাহুলের বয়ান সংশোধনেই সময় নষ্ট হচ্ছে। ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত বিষয়ে আগে তিনি যে বয়ান দিয়েছেন, তার সঙ্গে বর্তমান বয়ান মিলছে না। এর কারণেই তদন্তে সমস্যা হচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষ হওয়ার পর রাহুল তাঁর সম্পূর্ণ বয়ান ফের একবার পড়ছেন। সেই কাজেও অনেকটা সময় ব্যয় হচ্ছে।
অন্য়দিকে, রাহুলকে বারংবার ইডির দফতরে নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদকে রাজনৈতিক চক্রান্ত বলেই দাবি করছেন কংগ্রেস নেতারা। কেন্দ্রীয় সরকারের অঙ্গুলি হেলনে ইডি পরিচালিত হচ্ছে এবং কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতিকে হেনস্থা করছে, এমনটাই অভিযোগ তাঁদের। দিল্লির যন্তর মন্তরে তাঁরা বিক্ষোভও দেখাচ্ছেন।