নয়া দিল্লি: জনসংযোগ কর্মসূচিতে কংগ্রেসের মাস্টারস্ট্রোক ছিল ভারত জোড়ো যাত্রা(Bharat Jodo Yatra)। গত বছরের সেপ্টেম্বর মাস থেকে শুরু করা হয়েছিল কংগ্রেসের ভারত জো়ড়ো যাত্রা। এই কর্মসূচির নেতৃত্বে ছিলেন রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। কন্যাকুমারী থেকে কাশ্মীর অবধি কয়েক হাজার কিলোমিটার পায়ে হেঁটেই অতিক্রম করেন রাহুল ও কংগ্রেসের অন্যান্য নেতারা। তবে রাহুলের পায়ে হেঁটে দেশজুড়ে জনসংযোগ কর্মসূচির থেকেও বেশি চর্চায় ছিল তাঁর লুক (Rahul Gandhi’s Look)। যাত্রা শুরুর সময়ে রাহুল ছিলেন ‘ক্লিন শেভড’। যতই কন্যাকুমারী থেকে কাশ্মীরের দিকে এগোতে থাকে যাত্রা, ততই বাড়তে থাকে তাঁর গালে দাড়ির বহর। রাহুলের এই দাড়ি নিয়ে চর্চা যেমন হয়েছে, তেমনই বিতর্কও হয়েছে বিস্তর। ভারত জোড়ো যাত্রা শেষ হতেই আবার লুক বদলে গেল রাহুল গান্ধীর লুক। কেমন সেই লুক, দেখে নিন।
গত জানুয়ারিতে শেষ হয় ভারত জোড়ো যাত্রা। এরপরেও বেশ কয়েকটি অনুষ্ঠানে রাহুল গান্ধীকে দেখা গিয়েছিল গাল ভর্তি চাপদাড়ি লুকে। তবে বিদেশ যেতেই বদলে গেল সেই লুক। পুরনো ক্লিন শেভ লুকেই দেখা গেল রাহুল গান্ধীকে। মঙ্গলবার লন্ডনের কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়েছিলেন কংগ্রেস নেতা, সেখানেই তাঁকে পুরনো ধাঁচেই দেখা যায়। ছোট করে ছাঁটা চুল, গালে দাড়ির লেশমাত্র নেই। রাহুলের নতুন এই লুক সামনে আসতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় শোরগোল পড়ে যায়। চুলচেরা বিশ্লেষণও হয়।
কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের একটি অনুষ্ঠানেই বক্তব্য রাখতে উপস্থিত হয়েছেন রাহুল গান্ধী। এই বিশ্ববিদ্যালয়েরই প্রাক্তনী রাহুল। অনুষ্ঠানে তিনি “বিগ ডেটা অ্যান্ড ডেমোক্রেসি” ও “ভারত-চিন সম্পর্ক” নিয়ে আলোচনা করবেন।
উল্লেখ্য, ভারত জোড়ো যাত্রার মাঝে রাহুল গান্ধীর দাড়ি রাখা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্তদ বিশ্ব শর্মা রাহুল গান্ধীর সমালোচনা করতে গিয়ে বলেছিলেন, “সাদ্দাম হুসেনের মতো লাগছে”। একজন আন্তর্জাতিক জঙ্গির সঙ্গে রাহুল গান্ধীর তুলনা টানায় ব্যাপক বিতর্ক হয়।