নয়া দিল্লি: ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় চাপে পড়েছে কংগ্রেস। আজ, সোমবার ইডির দফতরে হাজিরা দেওয়ার কথা কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর। তাঁর প্রতি সমর্থন ও কংগ্রেসের শক্তি প্রদর্শনেই আজ দেশজুড়ে মিছিল-ধর্নার পরিকল্পনা ছিল কেন্দ্রের অন্যতম বিরোধী দলের। কিন্তু সেই পরিকল্পনায় জল ঢেলে দিল দিল্লি পুলিশ। বর্তমান সাম্প্রদায়িক ও আইন-শৃঙ্খলার পরিস্থিতির উদাহরণ দিয়ে ওই মিছিলের অনুমতি দেওয়া সম্ভব নয় বলেই জানানো হয়েছে দিল্লি পুলিশের তরফে। আজ ইডির দফতরের বাইরে কংগ্রেস কর্মীদের ধর্নায় বসতেও দেওয়া হবে না বলে জানা গিয়েছে।
কংগ্রেস সূত্রে জানা গিয়েছে,দলের তরফে ফের একবার দিল্লি পুলিশের কাছে মিছিলের অনুমতি দেওয়ার জন্য আর্জি জানানো হবে। যদি অনুমতি না মেলে, তারপরই বিকল্প কোনও পন্থার চিন্তা-ভাবনা করা হবে।
চলতি মাসের শুরুতেই ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় বেআইনি আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হয় কংগ্রেস নেত্রী সনিয়া গান্ধী ও রাহুল গান্ধীকে। ৪ জুন ইডির দফতরে হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল রাহুল গান্ধীর। কিন্তু সেই সময়ে তিনি দেশে না থাকায় হাজিরা দিতে পারেননি। পরিবর্তে আজ, ১৩ জুন ইডির দফতরে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয় তাঁকে।
দলীয় সূত্রে খবর, আজ হাজিরা এড়াবেন না রাহুল। সকালেই তিনি ইডির দফতরে যেতে পারেন। এদিকে, তাঁর প্রতি সমর্থন প্রদর্শনেই কংগ্রেসের তরফে দেশজুড়ে বিক্ষোভ কর্মসূচির পরিকল্পনা করা হয়েছে। দিল্লিতে কংগ্রেসের সদর দফতর, আকবর রোডে সকাল সাড়ে ৯টাার মধ্যে সমস্ত সাংসদ ও শীর্ষনেতাদের উপস্থিত হতে বলা হয়েছে। সকাল ১০টা থেকে শুরু হবে মিছিল। রাহুল গান্ধীর সঙ্গেই আড়াই কিলোমিটার পথ হেঁটে ইডির দফতর অবধি যাবেন কংগ্রেস কর্মীরাও। রাজ্যগুলিতেও কংগ্রেস কর্মীদের ইডির দফতরের বাইরে ধর্নায় বসার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
জাতীয় স্তরে কংগ্রেসের যারা মুখপাত্র, তাদেরও বিভিন্ন জায়গা থেকে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, লখনউ থেকে সাংবাদিক বৈঠক করবেন রাজস্থানের কংগ্রেস নেতা সচিন পাইলট। আহমেদাবাদ থেকে পবন খেরা, পটনা থেকে নাসির হুসেন, গোয়া থেকে মধু গৌড়, রায়পুর থেকে বিবেক তানখা, শিমলা থেকে সঞ্জয় নিরুপম, চণ্ডীগঢ় থেকে রঞ্জিৎ রঞ্জন ও দেহরাদূন থেকে অলকা লাম্বা সাংবাদিক বৈঠক করবেন।