নয়া দিল্লি: ইডির জেরায় জেরবার রাহুল। ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় পরপর তিনদিন তলব করা হল কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীকে। বেআইনি আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত তথ্য জানতেই রাহুল গান্ধীকে ক্রমাগত জেরা করছে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা। চলতি সপ্তাহের সোমবার প্রথমবার ইডির দফতরে হাজিরা দেন রাহুল। মঙ্গলবারও ফের তলব করা হয় তাঁকে। প্রায় টানা ১০ ঘণ্টা জেরার পর আজ, বুধবার ফের তাঁকে ইডির দফতরে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। এরইমধ্যে মঙ্গলবার ইডির দফতর থেকে বেরিয়ে মধ্যরাতে হাসপাতালে গেলেন রাহুল গান্ধী। জানা গিয়েছে, রাহুল নিজে অসুস্থ নন। বরং করোনায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন তাঁর মা তথা কংগ্রেসের সভানেত্রী সনিয়া গান্ধী। তাঁকে দেখতেই হাসপাতালে যান রাহুল।
মঙ্গলবার সকালে ইডির দফতরে হাজিরা দেওয়ার পর থেকে সারাদিন ওখানেই ছিলেন রাহুল গান্ধী। তাঁকে ম্যারাথন জেরা করেন সিবিআই আধিকারিকেরা। রাত প্রায় সাড়ে ১১টা নাগাদ ইডির দফতর থেকে বের হন রাহুল। এর কিছুক্ষণ পরই দিল্লির স্যার গঙ্গারাম হাসপাতালে যেতে দেখা যায় রাহুল গান্ধীকে। সঙ্গে ছিলেন প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরাও। রাতেই সনিয়া গান্ধীর সঙ্গে দেখা করেন তাঁরা। উল্লেখ্য, করোনা সংক্রান্ত শারীরিক জটিলতার কারণেই গত রবিবার সনিয়া গান্ধীকে হাসপাতালে ভর্তি করাতে হয়। এখনও সংক্রমণমুক্ত না হলেও, বর্তমানে তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল বলেই জানানো হয়েছে কংগ্রেস সূত্রে।
কী কী হচ্ছে ইডির দফতরে?
ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় রাহুল গান্ধীর হাজিরা দেওয়াকে ঘিরে ইডির দফতরের বাইরে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন কংগ্রেস কর্মীরা। এর জেরেই কড়া নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে ইডির দফতর। মঙ্গলবার সকালেই ইডির দফতরে হাজির হন রাহুল। কিছু আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার পর সকাল সাড়ে ১১টা থেকে রাহুলকে জেরা করতে শুরু করেন ইডি আধিকারিকেরা। মধ্যাহ্নভোজের জন্য মাঝে এক ঘণ্টার বিরতি নেন রাহুল। পরে ফের জেরা শুরু করা হয় তাঁকে।
জানা গিয়েছে, বেআইনি আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত মামলার তদন্তে একাধিক দফায় জেরা করা হয়েছে রাহুল গান্ধীকে। তাঁর যাবতীয় বয়ান রেকর্ডও করা হয়েছে। সম্পূর্ণ বয়ানের ট্রান্সস্ক্রিপ্ট জমা দেওয়ার আগে রাহুল একবার বয়ানটি সম্পূর্ণ পড়ে নেন বলেও সূত্রের খবর। দুই দিন মিলিয়ে মোট ২১ ঘণ্টা জেরা করা হয়েছে রাহুল গান্ধীকে। জেরার প্রথম দিন অর্থাৎ সোমবার ১০ ঘণ্টা জেরা করা হয়েছিল রাহুল গান্ধীকে। মঙ্গলবার ১১ ঘণ্টা জেরা করা হয় তাঁকে।
অন্যদিকে, একই মামলায় ইডির তরফে কংগ্রেস নেত্রী সনিয়া গান্ধীকেও তলব করা হয়েছে। গত ৮ জুন ইডির দফতরে হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল তাঁর। কিন্তু তাঁর আগেই তিনি করোনা আক্রান্ত হন। ফলে হাজিরার তারিখ পিছিয়ে ২৩ জুন করে দেওয়া হয়। এই সময়ের মধ্যে যদি সনিয়া গান্ধী সুস্থ হয়ে ওঠেন, তবে তিনি হাজিরা দেবেন। নাহলে ফের হাজিরার তারিখ বদলাতে হবে ইডিকে।