নয়া দিল্লি: চিন্তন শিবিরেও বড় চিন্তায় পড়ল কংগ্রেস (Congress)। বিগত কয়েক মাস ধরেই দলীয় নেত্রী তথা অন্তর্বর্তী সভাপতি সনিয়া গান্ধী(Sonia Gandhi)-র স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগ বেড়েছে অনেকের। তবে হাল ছাড়তে নারাজ সত্তরোর্ধ্ব সনিয়া গান্ধী। সাধারণ মানুষের সঙ্গে দলের জনসংযোগ বাড়াতে মহাত্মা গান্ধীর জন্মজয়ন্তীতে কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী অবধি যে “ভারত জোড়ো যাত্রা”(Bharat Joro Yatra)-র ঘোষণা করেছে কংগ্রেস, তাতে সকল কংগ্রেসকর্মীকেই যোগদান করতে হবে, এই নির্দেশ দিলেন কংগ্রেস নেত্রী। দলের প্রবীণ সদস্য যারা, তাঁদের দিকেও চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছেন সনিয়া। তাঁর বার্তা, কোনও অজুহাত শোনা হবে না, হাঁটতে হবে প্রবীণদেরও।
রবিবারই চিন্তন শিবিরের শেষ দিন ছিল। দলের একাধিক সিদ্ধান্ত, আগাম পরিকল্পনা ও কর্মসূচির ঘোষণা করা হয়েছে এই শিবিরে। “ভারত জোড়ো যাত্রা” প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে দলনেত্রী সনিয়া গান্ধী বলেন, “এই পদযাত্রায় সবাইকে অংশগ্রহণ করতে হবে। আমার মতো প্রবীণ সদস্যদের কোনও উপায় খুঁজে বের করতে হবে যাতে আমাদের দম ফুরিয়ে না যায়।” দলনেত্রীর এই কথা শুনে শিবিরে উপস্থিত দলীয় কর্মীরা হাসিতে ফেটে পড়েন।
উল্লেখ্য, বিগত কয়েক মাস ধরেই অসুস্থ ছিলেন সনিয়া গান্ধী। কংগ্রেসের বড় কোনও কর্মসূচি ছাড়া তাঁকে জনসমক্ষে বিশেষ দেখাও যায়নি। শারীরিক অসুস্থতার কারণেই ২০১৬ সালে উত্তর প্রদেশের বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে নেমেও মাঝপথেই মিছিল ছেড়ে যেতে হয়েছিল সনিয়া গান্ধীকে। সেই সময়ে কংগ্রেসের তরফে জানানো হয়, পর্যাপ্ত পরিমাণ জল খাননি বলেই গরমে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন দলনেত্রী। দুই বছর পরে কর্নাটকেও একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হয়।
আগামী বছর রাজস্থানে বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে। দ্বিতীয়বার সরকারে নির্বাচিত হতে এক বছর আগে থেকেই প্রচারে নেমেছে কংগ্রেস। আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই দক্ষিণ রাজস্থানে বানসারায় সনিয়া গান্ধীর জনসভায় বক্তব্য রাখার কথা। তবে চিন্তন শিবিরে দাঁড়িয়ে ৭৫ বছর বয়সী কংগ্রেস নেত্রী বয়সের ভারের যে ইঙ্গিত দিয়েছেন, তাতে আগামিদিনে তিনি আর কোনও জনসভায় অংশ নেবেন কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।