ইন্দোর: রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’ ইতিমধ্যে দেশজুড়ে সাড়া ফেলেছে। রাজনীতিক, অরাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব থেকে সেলিব্রিটিরাও ভারত জোড়ো যাত্রায় সামিল হয়েছেন। কিন্তু এবার ভারত জোড়ো যাত্রার মধ্যেই প্রাণনাশের হুমকি পেলেন রাহুল গান্ধী। শুক্রবার সকালে ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’-র মিছিল মহারাষ্ট্র থেকে মধ্যপ্রদেশে ঢোকার আগেই রাহুল গান্ধীকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া একটি চিঠি পাওয়া গিয়েছে। যা নিয়ে ঘুম ছুটেছে মধ্যপ্রদেশ পুলিশের।
পুলিশ সূত্রে খবর, ইন্দোরের জুনি থানা এলাকায় একটি মিষ্টি দোকানের বাইরে হিন্দিতে লেখা একটি চিঠি পাওয়া গিয়েছে। সেই চিঠিতে বোমা দিয়ে রাজীব-তনয়কে খুন করার হুমকি দেওয়া হয়েছে। রাহুল গান্ধী ইন্দোরে ঢুকলেই তাঁকে হত্যা করা হবে বলে চিঠিতে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।
জুনি থানা এলাকায় মিষ্টির দোকানের বাইরে থেকে হুমকি-চিঠিটি পাওয়া গেলেও কে বা কারা চিঠিটি সেখানে ফেলে দিয়ে গিয়েছে, তা এখনও জানা যায়নি। অভিযুক্তের খোঁজে এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখছে ইন্দোর পুলিশ। ইতিমধ্যে এই ঘটনায় অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে এবং তদন্ত শুরু হয়েছে বলে ইন্দোর পুলিশের আধিকারিক জানান। কে চিঠিটি মিষ্টির দোকানের সামনে ফেলে দিয়ে গিয়েছে, সেটা জানতে পারলেই অভিযুক্তের হদিশ মিলবে বলে দাবি পুলিশের। ঘটনার তদন্তে নেমেছে মধ্যপ্রদেশের গোয়েন্দা শাখাও।
যদিও কেন কংগ্রেস নেতাকে হুমকি দেওয়া হয়েছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে স্বাধীনতা সংগ্রামী বীর সাভারকারকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করার পরদিনই হুমকি-চিঠি পেলেন রাহুল গান্ধী। ফলে বীর সাভারকারকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করার সঙ্গে এই হুমকি-চিঠির সম্পর্ক থাকতে পারে বলে পুলিশের অনুমান।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবারই মহারাষ্ট্রে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে স্বাধীনতা সংগ্রামী বীর সাভারকারকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। সাভারকারের লেখা একটি চিঠি তুলে ধরে তিনি বলেন, বীর সাভারকার ব্রিটিশদের সাহায্য করেছিলেন। রাহুল গান্ধীর এই মন্তব্যের পর জোর সমালোচনা শুরু হয়। কংগ্রেস নেতার উপর বেজায় ক্ষিপ্ত হন শিবসেনা সমর্থকেরা। শিবসেনা থেকে বিজেপিও কংগ্রেস নেতার মন্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ করেন। সুর চড়ান উদ্ধব ঠাকরেও। ওয়াংখাড়ের সাংসদের বিরুদ্ধে থানে থানায় মামলাও দায়ের হয়েছে। এবার রাহুল গান্ধীকে বোমা দিয়ে প্রাণনাশের হুমকি চিঠি দেওয়ার ঘটনা ঘটল। যা নিয়ে মধ্যপ্রদেশ পুলিশের কার্যত ঘুম ছুটেছে। বিশেষত, ইন্দিরা গান্ধী থেকে রাজীব গান্ধীকে যেভাবে হত্যা করা হয়েছে, সেখানে রাহুল গান্ধীকে বোমা দিয়ে প্রাণনাশের হুমকির ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।