নয়া দিল্লি: আর মাত্র তিনদিন, আগামী ১৭ অক্টোবর কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচন। জাতীয় কংগ্রেসের শীর্ষ পদে নির্বাচিত হওয়ার জন্য মুখোমুখি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন শশী থারুর এবং মল্লিকার্জুন খাড়্গে। গত ১০ অক্টোবর বাংলায় এসেছিলেন খাড়্গে। বঙ্গের কংগ্রেস নেতা-কর্মীদের মধ্যে নিজের প্রচার চালিয়েছেন। অন্যদিকে, সময়ের অভাবে রাজ্যে প্রচারে আসতে পারছেন না শশী থারুর। আর, সেই কারণেই অভিনবভাবে বাংলার কং নেতা-কর্মীদের মধ্যে প্রচার চালালেন শশী থারুর। বাংলা ভাষায় বলা এক অডিয়ো বার্তা প্রকাশ করে বঙ্গ কংগ্রেসের সহায়তা চেয়েছেন তিনি।
অডিয়ো বার্তায় থারুর বলেছেন, “নমস্কার আমি শশী থারুর। আসন্ন সাংগঠনিক নির্বাচনে আমি কংগ্রেস সভাপতি পদে প্রার্থী হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছি। আপনাদের সাহায্য ও আশীর্বাদ প্রার্থনীয়। আমি আপনাদের প্রতিনিধি হিসেবে সভাপতিত্ব করতে চাই। আগামী ১৭ তারিখ ২ নম্বর বক্সে টিক চিহ্ন দিয়ে আমায় জয়যুক্ত করুন। জয় হিন্দ, বন্দে মাতরম, জয় কংগ্রেস।”
গান্ধী পরিবারের পক্ষ থেকে বারংবার দাবি করা হয়েছে যে, কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচনে দলের কোনও সরকারি প্রার্থী নেই। গান্ধী পরিবারের বাছাই কোনও প্রার্থী নেই। এমনকী নিরপেক্ষ থাকার জন্য নির্বাচনে ভোটও দেবেন না গান্ধী পরিবারের কেউ, এমনটাই শোনা যাচ্ছে। কিন্তু, একেবারে মনোনয়ন জমা দেওয়ার দিন থেকে খাড়্গের প্রতি দলের পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ করেছেন শশী থারুর। বৃহস্পতিবারও তিনি অভিযোগ করেছে, দলের একাংশের নেতারা খোলাখুলি খাড়্গেকে সমর্থন করছেন। এমনকি, তাঁর সমর্থনে সভা-সমিতিও করছেন। এর ফলে এই প্রতিদ্বন্দ্বিতা একপেশে হয়ে যাচ্ছে, ভারসাম্য থাকছে না। একাধিক রাজ্যে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতিরা তাঁর সঙ্গে বৈঠক পর্যন্ত করতে চাইছে না। অথচ, খাড়্গেকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানো হচ্ছে।
এর আগে, তামিলনাড়ুর চেন্নাইয়ে প্রচার করতে গিয়ে চূড়ান্ত হেনস্থা হয়েছিলেন শশী থারুর। সেখানে এক প্রচার সভার আয়োজন করেছিলেন থারুর। কিন্তু তাঁর বক্তব্য শুনতে ৭০০ জন কংগ্রেস প্রতিনিধির মধ্যে হাজির হয়েছিলেন মাত্র ১২ জন। কংগ্রেসের অন্দরে কান পাতলে শোনা যাচ্ছে, শশী থারুরের সভায় গেলে দলের ‘সরকারি’ প্রার্থী মল্লিকার্জুন খাড়্গের বিরোধী হিসেবে চিহ্নিত হয়ে যাওয়ার ভয় পাচ্ছেন কংগ্রেস নেতা-কর্মীরা।