নয়া দিল্লি: কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচনে প্রার্থী হচ্ছেন মল্লিকার্জুন খাড়্গে। তাই রবিবার (২ অক্টোবর) নেতা দলের মুখপাত্র পদ থেকে ইস্তফা দিলেন তিন কংগ্রেস নেতা – গৌরব বল্লভ, দীপেন্দর হুডা এবং সৈয়দ নাসির হুসেন। তিনজনেই জানিয়েছেন, মল্লিকার্জুন খাড়্গের পক্ষে প্রচার করবেন তারা। গৌরব বল্লভ বলেছেন, “আমরা তিনজনই দলীয় সভাপতি হিসেবে মল্লিকার্জুন খাড়্গের নির্বাচনী প্রচারের জন্য দলীয় মুখপাত্রের পদ থেকে ইস্তফা দিচ্ছি। । আমরা চাই নির্বাচনটি যাতে অবাধ এবং সুষ্ঠু হোক।”
সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন খোদ মল্লিকার্জুন খাড়্গে। তিনি বলেন, “যেদিন আমি মনোনয়ন জমা দিয়েছিলাম, আমি উদয়পুরে দলের নেওয়া সিদ্ধান্ত ‘এক ব্যক্তি এক পদ’ মেনে আমার পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলাম। আমি আনুষ্ঠানিকভাবে আজ কংগ্রেস দলের সভাপতি পদের জন্য আমার প্রচার শুরু করলাম। এর আগে গত শুক্রবার, কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন সভানেত্রী সনিয়া গান্ধীকে একটি চিঠি লিখে খাড়্গে জানিয়েছিলেন, তিনি অল ইন্ডিয়া কংগ্রেস কমিটির সভাপতি পদের জন্য মনোনয়ন দাখিল করেছেন বলে, রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতার পদ থেকে ইস্তফা দিচ্ছেন।” সংবাদ সংস্থা পিটিআই-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, তাঁর পরিবর্তে পি চিদম্বরম বা দিগ্বিজয় সিং রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতার পদে বসতে পারেন।
The day I filed my nomination, I gave a resignation from my post aligning with the ‘One Person One Post’ decision of the party taken in Udaipur. I officially begin my campaign for the post of Congress party president today: Mallikarjun Kharge pic.twitter.com/rseXiDPl3c
— ANI (@ANI) October 2, 2022
শুক্রবার মনোনয়ন জমা দেওয়ার পরই, কর্ণাটক থেকে কংগ্রেসের রাজ্যসভার এই সাংসদ দলের সমস্ত প্রতিনিধিদের কাছে তাঁকে ভোট দেওয়ার জন্য আবেদন করেছিলেন। তিনি বলেন, “আমি শৈশব থেকেই কংগ্রেসের আদর্শের সঙ্গে যুক্ত। অষ্টম-নবম শ্রেণিতে পড়ার সময় থেকেই গান্ধী-নেহেরুর আদর্শের প্রচার করতাম।” তাঁর মনোনয়নপত্রের প্রস্তাবকদের মধ্যে রয়েছে বেশ কিছু বড় নাম অশোক গেহলট, দিগ্বিজয় সিং, প্রমোদ তিওয়ারি, পিএল পুনিয়া, এ কে অ্যান্টনি, পবন কুমার বনসল প্রমুখ। আনন্দ শর্মা, মণীশ তিওয়ারিদের মতো জি২৩ নেতারাও খোলাখুলি তাঁকে সমর্থন করেছেন।
তবে, তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী শশী থারুর, খাড়্গেকে “ধারাবাহিকতার প্রার্থী” বলেছেন। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে “ধারাবাহিকতা” বলতে গান্ধী পরিবারের ধারাবাহিকতার কথাই বলতে চেয়েছেন থারুর। দলিত নেতা দলের হাইকমান্ড তথা গান্ধী পরিবারের পছন্দ, সেটাই বোঝাতে চেয়েছেন। সিনিয়র নেতার প্রতি তাঁর কোনও অসম্মান নেই দাবি করে তিরুঅনন্তপুরমের সাংসদ বলেছেন, “তবে আমি আমার ধারণার প্রতিনিধিত্ব করব। প্রতিষ্ঠান যে স্থিতাবস্থার পিছনে মিছিল লাগিয়েছে, তাতে আমি বিস্মিত নই। কেউ স্থিতাবস্থা চাইলে তাঁর খাড়্গেকে ভোট দেওয়া উচিত। আর যদি কেউ ২১ শতাব্দীতে বাকিদের দিকে নজর রেখে পার্টিতে পরিবর্তন এবং অগ্রগতি চান, আমি সেই পরিবর্তনের প্রতিনিধি।”