নয়া দিল্লি: এক রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন, তার আগেই আরেক রাজ্য তোলপাড় হচ্ছে দলীয় কোন্দলের জেরে। গুজরাট নির্বাচনের আগেই রাজস্থানের দলীয় কোন্দল সামাল দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে কংগ্রেসকে (Congress)। সম্প্রতিই মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট (Ashok Gehlot) ঘনিষ্ঠ একাধিক বিধায়ক গুরুত্বপূর্ণ দলীয় বৈঠক এড়িয়ে যান। এরপর থেকেই জল্পনা শুরু হয়, রাজস্থানে কংগ্রেসের অন্দরে ফের একবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে দলীয় কোন্দল। এবারও বিরোধের নেপথ্যে রয়েছে অশোক গেহলট বনাম সচিন পাইলটের বিরোধ। দলীয় এই বিরোধ মেটাতেই ময়দানে নেমেছিলেন কংগ্রেসের নতুন সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে। কিন্তু গুজরাটের ভোট না মেটা অবধি রাজস্থানের সঙ্কটের দিকে তিনি নজর দিতে পারবেন না বলেই জানিয়ে দিয়েছেন, এমনটাই সূত্রের খবর।
রাজস্থানে কংগ্রেসের অন্দরে বিরোধ শুরু হয়েছিল সভাপতি নির্বাচনকে ঘিরেই। গান্ধী পরিবারের ঘনিষ্ঠ তথা রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটের কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচনে পদপ্রার্থী হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু কংগ্রেসের ‘এক ব্যক্তি,এক পদে’র নিয়ম অনুযায়ীই গেহলটকে জানানো হয়, তিনি সভাপতি হিসাবে নির্বাচিত হলে মুখ্যমন্ত্রীর গদি ছাড়তে হবে। তাঁর অবর্তমানে মুখ্যমন্ত্রীর ব্যাটন তাঁর অন্যতম বিরোধী সচিন পাইলটের হাতেই যাবে, এই জল্পনা সামনে আসতেই বেঁকে বসেন গেহলট ঘনিষ্ঠ বিধায়করা। দলের অন্দরেই দেখা দেয় বিরোধ।
গেহলটের জায়গাতেই সভাপতি নির্বাচনে দাঁড়ান কংগ্রেসের প্রবীণ নেতা মল্লিকার্জুন খাড়্গে। শশী থারুরকে হারিয়ে তিনিই সভাপতি হিসাবে নির্বাচিত হন। বর্তমানে রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটকে গুজরাটের বিধানসভা নির্বাচনের পর্যবেক্ষক হিসাবে নিয়োগ করা হয়েছে। আগামী ১ ও ৫ ডিসেম্বর গুজরাটের বিধানসভা নির্বাচন। সূত্রের খবর, বর্তমানে ভারত জোড়ো যাত্রা তামিলনাড়ু, কেরল, কর্নাটক, তেলঙ্গানা ও মহারাষ্ট্র পার করে রাজস্থানে প্রবেশ করছে। বাকি রাজ্যগুলিতে কংগ্রেস ক্ষমতায় না থাকলেও, রাজস্থানে তারা ক্ষমতায় রয়েছে। ভারত জোড়ো যাত্রা চলাকালীন যাতে অশোক গেহলট ও সচিন পাইলট নতুন করে বিরোধে না জড়ান, তা নিয়ে কড়া বার্তা দিয়েছেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে।
একইসঙ্গে গুজরাট নির্বাচন মেটার পরই রাজস্থান নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত হবে, এমনটাই মনে করছেন সভাপতি খাড়্গে। সেই কারণেই তিনি গুজরাটের নির্বাচন শেষ হওয়ার পর, রাজস্থানের কংগ্রেস নেতাদের নিয়ে বৈঠকে বসবেন।