Meghalaya Congress: ১২ বিধায়কের তৃণমূলে যোগদান, বিরোধী দলের মর্যাদা ধরে রাখতে আইনের পথে হাঁটবে কংগ্রেস
Congress Meghalaya: শুধুমাত্র উত্তর পূর্ব নয়, সমগ্র দেশের পরিপ্রেক্ষিতেই তৃণমূল অন্যতম বিকল্প এই যুক্তি দেখিয়েই কংগ্রেস ত্যাগ করেছিলেন মুকুল সাংমা নেতৃত্বাধীন কংগ্রেস বিধায়করা। বিরোধী দলের মর্যাদা চেয়ে বিধানসভার অধ্যক্ষকে চিঠি দেবেন বলেই জানিয়েছিলেন মুকুল।
শিলং: উত্তপ পূর্বে তৃণমূলের (All India Trinamool Congress) নজরকাড়া উত্থানের সাক্ষী গোটা দেশ। যে রাজ্যে দু’দিন আগেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) দলের কোনও পতাকাও চোখে পড়ত না, সেখানেই বিরোধী দলের সরকারি স্বীকৃতি মেলার সুযোগ রয়েছে ঘাসফুল শিবিরের কাছে। ৬০ আসনের মেঘালয় বিধানসভায় ২০১৮ সালের বিধানসভা নির্বাচনে মেঘালয়তে মূল লড়াই ছিল কংগ্রেস ও ন্যাশানাল পিপলস্ পার্টির (National Peoples’ Party) মধ্যে। ন্যাশানাল পিপলস্ পার্টির সঙ্গে জোট বেঁধে লড়াই করেছিল বিজেপি।
পাহাড়ে ঘেরা এই রাজ্যে সবথেকে বেশি আসন পেয়েছিল মুকুল সাংমা নেতৃত্বাধীন কংগ্রেস (Congress)। ২১ টি আসনে নির্বাচিত হন কংগ্রেস প্রার্থীরা। অন্যদিকে ২০ আসন পায় এনপিপি, বিজেপির (BJP) ভাগ্যে জোটে ২ টি আসন। এরপর বিজেপি ও আঞ্চলিক কিছু দলের সমর্থন নিয়ে সরকার গড়ে এনপিপি। মেঘালয়ে বিরোধী দলে ছিল কংগ্রেস। এরপর থেকে ৩ কংগ্রেস বিধায়ক শাসক শিবিরে যোগ দেওয়ায় কংগ্রেসর বিধায়ক সংখ্যা কমে ১৭ হয়। সেই ১৭ জন বিধায়কের মধ্যে ১২ জনই তৃণমূলে যোগ দেওয়ার মধ্যে অশনি সঙ্কেত দেখছে কংগ্রেস নেতৃত্ব।
শুধুমাত্র উত্তর পূর্ব নয়, সমগ্র দেশের পরিপ্রেক্ষিতেই তৃণমূল অন্যতম বিকল্প এই যুক্তি দেখিয়েই কংগ্রেস ত্যাগ করেছিলেন মুকুল সাংমা নেতৃত্বাধীন কংগ্রেস বিধায়করা। বিরোধী দলের মর্যাদা চেয়ে বিধানসভার অধ্যক্ষকে চিঠি দেবেন বলেই জানিয়েছিলেন মুকুল। বর্তমানে দেশের পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিদিন কংগ্রেসের দুর্বল হওয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে। তারমধ্যে মেঘালয়তেও যদি এখন বিরোধী দলের মর্যাদা হারাতে হয় তবে তা শতাব্দী প্রাচীন দলটির জন্য সমস্যার কারণ হবে। তাই বিরোধী দলের মর্যাদা ধরে রাখতে আইনত পদক্ষেপ করতে চলেছে কংগ্রেস।
মেঘালয়ের কংগ্রেসের প্রধান ভিনসেন্ট এইচ পালা (Vincent H Pala)। লোকসভা সাংসদ পালা জানিয়েছেন, “আমরা আমাদের আইনজীবীর সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি, দ্রুতই আমরা কিছু একটা করব।” মনে করা হচ্ছে সাংমার তৃণমূলে যোগদানের পরই সংগঠন ধরে রাখতে পালাকে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির পদ দিতে পারে কংগ্রেস।
অন্যদিকে কংগ্রেস বিধায়কদের তৃণমূলে যোগদানে বিজেপির হাত শক্ত করার সম্ভাবনাই দেখতে পাচ্ছেন কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্ব। সংবাদ সংস্থা এএনআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কংগ্রেস রাজ্যসভা সাংসদ মল্লিকার্জুন খাড়গে (Mallikarjun Kharge) বলেন, “এরমধ্যে গভীর ষড়যন্ত্র রয়েছে। দলের নেতৃত্ব, বিশেষত কংগ্রেস সভাপতি সোনিয়া গান্ধী ও সাংসদ রাহুল গান্ধী পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছেন। তাঁরাই সিদ্ধান্ত নেবেন।” আগামীদিনে উত্তর পূর্বের এই রাজ্য নিয়ে কংগ্রেস-তৃণমূল চাপান উতর কোন দিকে যায় সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।
আরও পড়ুন বিয়ের জন্য রাখা ছিল ৭৫ লক্ষ টাকার পণ, সেই টাকায় মেয়েদের হোস্টেল তৈরির দাবি জানালেন পাত্রী