বিয়ের জন্য রাখা ছিল ৭৫ লক্ষ টাকার পণ, সেই টাকায় মেয়েদের হোস্টেল তৈরির দাবি জানালেন পাত্রী
kishore singh kanod, কিন্তু এই পণ প্রথা নিয়ে রাজস্থানে ঘটল এক অভিনব ঘটনা। মেয়ের বিয়ের জন্য পণের যে মোটা অঙ্ক দাবি সযত্নে রেখে দিয়েছিলেন বাবা, সেই টাকা দিয়ে ছাত্রীদের থাকার জন্য হোস্টেল তৈরি করতে হবে, এমন দাবিতেই সরব হয়েছেন স্বয়ং পাত্রী।
জয়পুর: দেশের অগ্রগতি ঘটলেও আমাদের সমাজে এখনও এমন কিছু প্রথা চালু আছে, যা ভারতীয় সমাজব্যবস্থার অন্ধকার দিক গুলিকে জনসমক্ষে নিয়ে আসে। এরমধ্যে অন্যতম হল পণ প্রথা (Dowry System)। এখনও দেশের বিস্তীর্ণ এলাকায়, মূলত গ্রামাঞ্চলে বিয়ের সময় পাত্র পক্ষের তরফে কন্যাপক্ষের কাছে পণ দাবি করা হয়। দাবি করা কখনও হয় নগদ টাকা, কখনও বা বস্তু নির্ভর। সন্দেহ নেই এই প্রাচীন প্রথা সমাজের কাছে অভিশাপ।
কিন্তু এই পণ প্রথা নিয়ে রাজস্থানে ঘটল এক অভিনব ঘটনা। মেয়ের বিয়ের জন্য পণের যে মোটা অঙ্ক দাবি সযত্নে রেখে দিয়েছিলেন বাবা, সেই টাকা দিয়ে ছাত্রীদের থাকার জন্য হোস্টেল তৈরি করতে হবে, এমন দাবিতেই সরব হয়েছেন স্বয়ং পাত্রী। নারী শিক্ষাকে প্রচারের জন্য এই অভিনব শর্ত রেখেছেন পাত্রী, এমনটাই জানা গিয়েছে।
চলতি মাসের ২১ তারিখ, রাজস্থানের বার্মার শহরের কিশোর সিং কানোদের (Kishore Singh Kanod) কন্যা অঞ্জলি কানওয়ারে (Anjali Kanwar) সঙ্গে প্রবীণ সিংয়ের (Praveen Singh) বিয়ে হয়। সংবাদপত্রে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী জানা গিয়েছে, বিয়ের আগে নিজের বাবার কাছে পাত্রী দাবি করেন, তাঁর বিয়েতে পণ দেওয়ার জন্য সঞ্চিত টাকা দিয়ে ছাত্রীদের হোস্টেল তৈরি করা হোক। মেয়ের দাবি ফেলে দিতে পারেননি বাবা, তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, হোস্টেল তৈরির জন্য তিনি ৭৫ লক্ষ টাকা দান করবেন।
নেটমাধ্যমে এই খবর প্রকাশিত হওয়ার পর থেকেই পাত্রী ও তাঁর বাবার প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছেন নেটিজেনরা। সংবাদবাদ পত্রে প্রকাশিত প্রতিবেদন সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করে এই অভিনব উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন অনেকে। বিয়েতে সকল অতিথির সামনে এই ঘোষণা করেন অঞ্জলি। সেখানে উপস্থিত সকলেই এই চিন্তাকে কুর্নিশ জানিয়েছেন। সেই মত পাত্রীর পিতা একটি চেক সই করে নিজের মেয়ে হাতে তুলে দেন এবং সেখানে নিজের ইচ্ছেমত টাকার অঙ্ক বসিয়ে নিতে বলেন। জানা গিয়েছে, ৬৮ নম্বর জাতীয় সড়কে মেয়েদেকর হোস্টেল তৈরি করার জন্য ইতিমধ্যেই ১ কোটির টাকা অনুদান দিয়েছেন কিশোর কানোড। কিন্তু হোস্টেল তৈরির জন্য আরও টাকার প্রয়োজন ছিল। এই ঘোষণার পর সেই সমস্যাও মিটে গেল।