Karnataka College COVID-19 Case: ‘সুপার স্প্রেডারে’র আকার নিল নবীনবরণের উৎসব! একই কলেজে করোনা আক্রান্ত ১৮২

182 tested COVID positive in Karnataka College: রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের তরফে ওই মেডিক্যাল কলেজের সমস্ত পড়ুয়া ও শিক্ষক, কর্মীদের করোনা পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মোট প্রায় ৩ হাজার জনের করোনা পরীক্ষা করা হবে, দুপুর অবধি ১ হাজার জনের পরীক্ষা হয়ে গিয়েছে, কালকের মধ্যেই সকলের রিপোর্ট পাওয়া যাবে।

Karnataka College COVID-19 Case: 'সুপার স্প্রেডারে'র আকার নিল নবীনবরণের উৎসব! একই কলেজে করোনা আক্রান্ত ১৮২
করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে উদ্বেগে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। প্রতীকী চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 26, 2021 | 2:40 PM

বেঙ্গালুরু: করোনা সংক্রমণ কমতেই ধাপে ধাপে খুলেছে স্কুল-কলেজ। কিন্তু একই কলেজের ১৮২ জন করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবর মিলতেই ফের আতঙ্ক ছড়িয়েছে। বৃহস্পতিবারই জানা গিয়েছিল, কর্নাটকের একটি কলেজের ৬৬ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছে। এদিন সকালে জানা যায়, ৬৬ নয়, আক্রান্তের সংখ্য়া পৌঁছেছে প্রায় ২০০-র কাছাকাছি।

কর্নাটকের ধারওয়াদ জেলার একটি মেডিকেল কলেজেই বর্তমানে করোনার আখড়া হয়ে উঠেছে। এসডিএম কলেজ অব মেডিক্যাল সায়েন্সের অধিকাংশ পড়ুয়া ও স্বাস্থ্য়কর্মীকরাই সম্পূর্ণ টিকাপ্রাপ্ত হওয়ার পরও কীভাবে একসঙ্গে এতজন করোনা আক্রান্ত হলেন, তা নিয়ে গতকালই প্রশ্ন উঠেছিল। এ দিন জানা যায়, সম্প্রতিই কলেজের ক্য়াম্পাসেই নবীবরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানেই কলেজের সমস্ত পড়ুয়া ও কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। কোনও এক করোনা আক্রান্ত ব্যক্তির থেকেই সংক্রমণ ছড়িয়ে তা গোষ্ঠী সংক্রমণের আকার নিয়েছে।

বিগত কয়েকদিন ধরেই বেশ কয়েকজন পড়ুয়া অসুস্থ হয়ে পড়ায় এবং তাদের মধ্যে কয়েকজনের করোনার উপসরিগ দেখা দিতেই ৩০০ জন পড়ুয়ার করোনা পরীক্ষা করা হয়। বৃহস্পতিবার ৬৬ জন পড়ুয়া ও শিক্ষাকর্মীর করোনা রিপোর্ট পজেটিভ আসে। এরা সকলেই সম্পূর্ণ টিকাপ্রাপ্ত বলে জানা গিয়েছে। আজ সকাল থেকে আরও পড়ুয়াদের করোনা পরীক্ষা করানো হচ্ছে।

ওই জেলার স্বাস্থ্য অধিকর্তা ডি রণদীপ বলেন, “আক্রান্তদের নমুনা জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের জন্য পাঠানো হয়েছে। এই পড়ুয়ারা সকলেই করোনা টীকাপ্রাপ্ত ছিলেন, তারপরও একসঙ্গে এতজন আক্রান্ত হওয়াতেই সংশয় তৈরি হয়েছে। জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের রিপোর্ট পেলেই জানা যাবে পড়ুয়ারা নতুন কোনও ভ্য়ারিয়েন্টে আক্রান্ত হয়েছে কিনা।”

গত ১৭ল নভেম্বর কলেজ চত্বরেই যে নবীবরণ উৎসবের আয়োজন করা হয়েছিল,তার থেকেই এই সংক্রমণ ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করেছে বলে জানান স্বাস্থ্য অধিকর্তা। জানা গিয়েছে, আক্রান্ত পড়ুয়ারা আপাতত হোস্টেলেই নিভৃতবাসে (quarantine) রয়েছে। দুটি হোস্টেলকে পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। যাদের হালকা বা মাঝারি উপসর্গ রয়েছে, তাদের হোস্টেলেই চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

এদিকে, কলেজ পড়ুয়াদের আক্রান্ত হওয়ার খবর মিলতেই রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের তরফে ওই মেডিক্যাল কলেজের সমস্ত পড়ুয়া ও শিক্ষক, কর্মীদের করোনা পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মোট প্রায় ৩ হাজার জনের করোনা পরীক্ষা করা হবে, দুপুর অবধি ১ হাজার জনের পরীক্ষা হয়ে গিয়েছে, কালকের মধ্যেই সকলের রিপোর্ট পাওয়া যাবে বলে জানানো হয়েছে।

জানা গিয়েছে, ওই মেডিক্য়াল কলেজে ৪০০ জন পড়ুয়া রয়েছে। তাদের মধ্য়ে ৩০০ জনেরই করোনা পরীক্ষা করা হয়, আজ বাকিদের পরীক্ষা করা হচ্ছে। আপাতত সকলকেই কোয়ারেন্টাইনে থাকতে বলা হয়েছে। পড়ুয়াদের খাবার ও জল ঘরেই পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
আক্রান্ত পড়ুয়ারা যে হস্টেলগুলিতে রয়েছেন, সতর্কতাবশে সেই দুটি হস্টেল সিল করে দেওয়া হয়েছে। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে যাবতীয় ক্লাসও। অনলাইনেই আপাতত পঠনপাঠন চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
কর্নাটকে বিগত কয়েক সপ্তাহ ধরেই আক্রান্তের হার অনেকটাই কমে গিয়েছিল। কিন্তু এই মেডিকেল কলেজের পার্টি থেকে বাইরেও সাধারণ মানুষদের সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।