নয়া দিল্লি: গুলাম নবি আজ়াদের পর কি এবার আনন্দ শর্মা? কংগ্রেসে দল ছাড়ার হিড়িক শুরু হয়েছে প্রবীণ নেতা গুলাম নবি আজ়াদের ইস্তফার পরই। একের পর এক জম্মু-কাশ্মীরের কংগ্রেস নেতারাও দল ছাড়ছেন। এরইমাঝে শনিবার কংগ্রেসের আরেক বিক্ষুব্ধ নেতা আনন্দ শর্মা দেখা করেন গুলাম নবি আজ়াদের সঙ্গে। এরপরই জল্পনা শুরু হয়েছে, গুলাম নবি আজ়াদের দেখাদেখি এবার কি আনন্দ শর্মাও কংগ্রেস ছাড়তে চলেছেন? সূত্রের খবর, দিল্লিতে গুলাম নবি আজ়াদের বাসভবনে প্রায় এক ঘণ্টা ধরে বৈঠক চলে দুই নেতার মধ্যে।
দলীয় পদ ছেড়ে বিদ্রোহের সূচনা করেছিলেন গুলাম নবি আজ়াদই। তাকে জম্মু-কাশ্মীরের নির্বাচনী প্রচার কমিটির দায়িত্ব দেওয়া হলেও, এক ঘণ্টার মধ্যেই তিনি সেই পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন। সেই রেশ কাটতে না কাটতেই, চলতি সপ্তাহের শুরুতে কংগ্রেসের হিমাচল প্রদেশের স্টিয়ারিং কমিটির প্রধান পদ থেকে ইস্তফা দেন আনন্দ শর্মা। এরইমাঝে গত শুক্রবার পাঁচ পাতার ইস্তফাপত্র দিয়ে কংগ্রেসের সঙ্গে ৫০ বছরের সম্পর্ক ছিন্ন করেন গুলাম নবি আজ়াদ।
আজ়াদের ইস্তফার পরই গতকাল বিকেলে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে যান আনন্দ শর্মা। সঙ্গে ছিলেন জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মন্ত্রী আরএস ছিবও ছিলেন। উল্লেখ্য, গত ২৬ অগস্ট তিনিও কংগ্রেসের সদস্যপদ থেকে ইস্তফা দেন।
কংগ্রেসের এই দুই নেতাই জি-২৩ শিবিরের সদস্য। কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচন থেকে শুরু করে দলের অন্দরে পরিবর্তনের দাবি জানিয়ে বিগত কয়েক বছর ধরেই সুর চড়িয়েছিলেন গুলাম নবি আজ়াদ, আনন্দ শর্মার মতো প্রবীণ নেতারা। কংগ্রেস ছাড়ার পরই গুলাম নবি আজ়াদ জানিয়েছেন, তিনি নিজস্ব দল গঠন করবে আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যেই তিনি নতুন দল তৈরি করবেন। দলের প্রথম সংগঠন তৈরি করা হবে জম্মু-কাশ্মীরে। আজ়াদের এই ঘোষণার পরই আনন্দ শর্মার হঠাৎ সাক্ষাতের পরই জল্পনা শুরু হয়েছে যে, এবার কংগ্রেস ছাড়তে পারেন আনন্দ শর্মাও। তবে তিনি আজ়াদের নতুন দলে যোগ দেবেন কি না, সে বিষয়ে এখনও কিছু জানা যায়নি।