লেখার জন্য একাধিকবার বিতর্কে (Controversy) জড়িয়েছেন সাদত হাসান মান্টো (Saadat Hasan Manto)। তাঁর জন্ম ১৯১২ সালের ১১ মে পাঞ্জাব লুধিয়ানার পাপরউদি গ্রামে। বাবা ছিলেন আদালতের বিচারক। দেশভাগের যন্ত্রণা আজীবন বয়ে বেরিয়েছিলেন মান্টো। তাঁর লেখাতেও ফিরে ফিরে এসেছে দেশভাগ। রাশিয়ান এবং ফরাসি ভাষা শিখেছিলেন। রাশিয়ান গল্পের উর্দু অনুবাদ করেছিলেন তিনি।
আজ তাঁর জন্মদিবস। মৃত্যুর পরেও প্রাসঙ্গিক মান্টো। তবে তাঁর ব্যক্তিজীবন স্বাচ্ছন্দময় ছিল না। পেশার অনিশ্চয়তায় পড়তে হয়েছিল তাঁকে। এক সময় লেখাকেই জীবনের একমাত্র পথ হিসেবে বেছে নেন তিনি। প্রকাশ পেতে থাকে একের পর এক বই। কবি ফয়েজ আহমেদ ফয়েজের সংস্পর্শে এসে উদ্বুদ্ধ হন।
প্রগতিশীলতার কারণে তাঁকে লাঞ্ছিত হতে হয় ভারত ও পাকিস্তানে। ১৯৩২ সালে বাবার মৃত্যু। একসময় নেশায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়েছিলেন। তবে সাহিত্য রচনা থেকে কখনও বিরত রাখেননি নিজেকে। অশ্লীলতার অভিযোগে ৬ বার মামলা হয়েছিল মান্টোর বিরুদ্ধে। অর্থের অভাবে কোনও আইনজীবী রাখতে পারেননি তিনি।
মান্টোর লেখা বাংলা সহ নানা ভাষায় অনূদিত হয়েছে। তাঁর জীবন ও সাহিত্যকে কেন্দ্র করে ছবি বানিয়েছেন নন্দিতা দাস। বোহেমিয়ান জীবন ও কম দামী মদ্য পানের কারণে লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত হন তিনি। প্রয়াত হন ১৯৫৫ সালের ১৮ জানুয়ারি। তাঁর কয়েকটি উল্লেখযোগ্য বইয়ের নাম– বু, টোবা টেক সিং, তামাশা, ঠাণ্ডা গোস্ত ইত্যাদি। নিশান-ই-ইমতিয়াজ পুরস্কারে সম্মানিত হয়েছিলেন সাদত হাসান মান্টো।