আলিগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯ অধ্যাপক-সহ ৪৪ কর্মীর মৃত্যু, আরও ‘ভয়াবহ’ ভ্যারিয়েন্টের আশঙ্কা

ঋদ্ধীশ দত্ত |

May 11, 2021 | 6:20 PM

দেশের অন্যতম প্রথম সারির শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এই পরিস্থিতি গভীর দুশ্চিন্তায় ফেলেছে চিকিৎসক মহলকে। পাশাপাশি উৎকণ্ঠায় ভুগছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষও।

আলিগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯ অধ্যাপক-সহ ৪৪ কর্মীর মৃত্যু, আরও ভয়াবহ ভ্যারিয়েন্টের আশঙ্কা
ছবি- টুইটার

Follow Us

লখনউ: করোনা সংক্রমণের জেরে মৃত্যুমিছিল শুরু হয়েছে গোটা দেশে। মারণ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এ বার মারা গেলেন আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৪ জন কর্মী। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর, যাদের মৃত্যু হয়েছে তাঁদের মধ্যে ২৫ জন অশিক্ষক কর্মী, এবং বাকি ১৯ জন অধ্যাপক। দেশের অন্যতম প্রথম সারির শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এই পরিস্থিতি গভীর দুশ্চিন্তায় ফেলেছে চিকিৎসক মহলকে। পাশাপাশি উৎকণ্ঠায় ভুগছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষও।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য তারিক মানসুর আশঙ্কা করছেন, করোনার নতুন কোনও আরও ‘ভয়াবহ’ প্রজাতি এই মৃত্যুর কারণ হয়ে থাকতে পারে। বিষয়টি নিয়ে যাতে গুরুত্ব সহকারে গবেষণা করা হয় সেই আবেদন জানিয়ে আইসিএমআর-কে একটি চিঠিও দিয়েছেন তিনি। চিঠিতে উপাচার্য লিখেছেন, এই মৃত্যুগুলি সম্ভবত নতুন এবং ‘অত্যন্ত ভয়াবহ’ কোনও ভ্যারিয়েন্টের কারণে।

এই প্রসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক আরশি খান বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের কবরস্থান সম্পূর্ণভাবে পরিপূর্ণ। এটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। একজন ডিন ও চেয়ারম্যান-সহ অনেক বড় বড় ডাক্তার এবং প্রবীণ অধ্যাপক মারা গিয়েছেন। যারা সুস্থ-সবল, সেই যুবসমাজেও মৃত্যু ঘটেছে।” গত বছর যখন করোনার প্রথম ঢেউ ভারতে ধাক্কা মেরেছিল, সেই সময় কোভিড মোকাবিলায় সক্রিয় ভূমিকা নেয় আলিগড় বিশ্ববিদ্যালয়। কিন্তু, দ্বিতীয় ঢেউয়ে সংক্রমণের হার এমন মৃত্যুর হার এতটাই বৃদ্ধি পেয়েছে যে কোনও ভাবেই তা সামাল দেওয়া যাচ্ছে না।

আরও পড়ুন: উল্টোডাঙায় ডুবল বাস, ঘণ্টা তিনেকের বৃষ্টিতে জলে থৈথৈ কলকাতা, দু’দিন চলবে বারিধারা

আলিগড় বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে প্রায় ৩০ হাজার পড়ুয়া পড়াশোনা করে। যাদের মধ্যে ১৬ হাজার পড়ুয়াই থাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলে। মোট ১৯ টি হস্টেল রয়েছে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের। সেই হস্টেলগুলিই গত একবছর ধরে প্রায় ফাঁকা। তবে কিছু পড়ুয়া এখনও বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়ে গিয়েছে। কিন্তু সমস্যা বাড়াচ্ছে একের পর এক অধ্যাপক এবং অশিক্ষক কর্মীদের মৃত্যু।

আরও পড়ুন: মাত্র চার ঘণ্টায় ২৬ করোনা আক্রান্তের মৃত্যু, অক্সিজেনের অভাব নাকি অন্য কিছু?

Next Article