RSS: মাদ্রাসায় তল্লাশিতে বের হল আরএসএস নিয়ে বিতর্কিত বই!

Sep 04, 2024 | 3:36 PM

Book on RSS found in madrasa: জাল নোটের কারবারের তদন্তে মাদ্রাসায় হানা দিয়েছিল পুলিশ। তাতে জাল নোট এবং তা ছাপার যন্ত্রপাতি তো পাওয়া গেলই সঙ্গে মিলল রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘ বা আরএসএস-এর বিষয়ে এক বিতর্কিত গ্রন্থ। যে গ্রন্থে আরএসএস-কে সন্ত্রাসবাদী সংগঠন বলা হয়েছে।

RSS: মাদ্রাসায় তল্লাশিতে বের হল আরএসএস নিয়ে বিতর্কিত বই!
প্রতীকী ছবি
Image Credit source: Pixabay

Follow Us

প্রয়াগরাজ: জাল নোটের কারবারের তদন্তে মাদ্রাসায় হানা দিয়েছিল পুলিশ। তাতে জাল নোট এবং তা ছাপার যন্ত্রপাতি তো পাওয়া গেলই সঙ্গে মিলল রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘ বা আরএসএস-এর বিষয়ে এক বিতর্কিত গ্রন্থ। যে গ্রন্থে আরএসএস-কে সন্ত্রাসবাদী সংগঠন বলা হয়েছে। উত্তর প্রদেশের প্রয়াগরাজের ঘটনা। স্থানীয় পুলিশের সন্দেহ, ওই গ্রন্থ ব্যবহার করে মাদ্রাসার ছাত্রদের মধ্যে ‘আরএসএস-বিরোধী মনোভাব’ জাগিয়ে তোলার চেষ্টা করা হত। প্রয়াগরাজ পুলিশের একজন পদস্থ আধিকারিক জানিয়েছেন, ২৮ অগস্ট প্রয়াগরাজের আটরসুইয়া এলাকার জামিয়া হাবিবিয়া মসজিদে আজম মাদ্রাসায় এই অভিযান চালানো হয়। সেই সময়ই বইটি পাওয়া যায়।

পুলিশ জানিয়েছে, উর্দু ভাষায় লেখা বইটি এসএম মোশাররফ নামে এক ব্যক্তির লেখা। নাম, ‘আরএসএস: দেশের সবচেয়ে বড় সন্ত্রাসবাদী সংগঠন’। মাদ্রাসার আলেম, মহম্মদ তাফসিরুল আরিফিন এই বইটি শিশু-মনে আরএসএস-বিরোধী মনোভাব জাগিয়ে তুলতে ব্যবহার করতেন বলে সন্দেহ পুলিশের। মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর), এই মামলার প্রেক্ষিতে মাদ্রাসা কর্মীদের জিজ্ঞাসাবাদ করে স্থানীয় পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ এবং উত্তর প্রদেশ পুলিশের সন্ত্রাসবিরোধী স্কোয়াড। এক স্থানীয় গোয়েন্দা কর্তা বলেছেন, “মাদ্রাসার কর্মী ও ছাত্রদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তবে তা থেকে কোন উল্লেখযোগ্য তথ্য পাওয়া যায়নি।”

এর আগে, ২৮ অগস্ট, প্রয়াগরাজ পুলিশ একটি জাল নোট চক্রের সন্ধান পেয়েছিল। চার সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করা হয়। মোট ১,৩০০টি জাল ১০০ টাকার নোট, ২৩৪টি নোট ছাপা পৃষ্ঠা (না কাটা), একটি ল্যাপটপ, একটি রঙিন প্রিন্টার, এবং আরও কয়েক বান্ডিল কাগজ বাজেয়াপ্ত করা হয়। পুলিশের ডেপুটি কমিশনার (শহর) দীপক ভূকার জানিয়েছেন, গ্যাং লিডারের নাম জাহির খান। সে ওডিশার ভদ্রকের বাসিন্দা। জামিয়া হাবিবিয়া মসজিদ আজম মাদ্রাসার একটি কক্ষে সে জাল নোট ছাপানোর ব্যবসা ফেঁদেছিল। মাদ্রাসার আলেম, আরিফিনই এই ঘরটি দিয়েছিলেন তাদের বলে,দাবি পুলিশের। মহম্মদ শাহিদ নামে আরও এক ব্যক্তি এই কাজে যুক্ত ছিল।

ডেপুটি কমিশনার দীপক ভূকারের মতে, এই চক্রটি গত তিন থেকে চার মাস ধরে জাল নোটের কারবার চালাচ্ছিল। ১৫,০০০ টাকার আসল নোটের বিনিময়ে অন্তত ৪৫,০০০ টাকার জাল নোট সরবরাহ করেছিল তারা। এই মামলায় যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে, তাদের আরও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শিগগিরই তাদের হেফাজতে নেওয়ার জন্য আদালতে আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। পুলিশ আরও জানিয়েছে, মাদ্রাসার কর্মী এবং ছাত্ররা জাল নোটের কারবার সম্পর্কে কিছু জানত বলে দাবি করেছে।

আরও খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Tv9 বাংলা অ্যাপ (Android/ iOs)

Next Article