নাগপুর: খুনের দায়ে জেলে গিয়েছিলেন, প্যারোলে মুক্তি পেয়ে জেলের বাইরে পা রাখতেই আবার অপরাধ! জেলবন্দি অপরাধীর লালসার শিকার হলেন এক মহিলা ও তাঁর নাবালিকা মেয়ে। রবিবার ওই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অপরাধীর নাম ভরত গোস্বামী (৩৩)। মহারাষ্ট্রের নাগপুরের জরিপটকা এলাকার বাসিন্দা ওই যুবক। ২০১৪ সালে একটি খুনের মামলায় তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। আদালতের রায়ে সাজা কাটছিল ওই যুবক। সম্প্রতিই প্য়ারোলে মুক্তি পায় অপরাধী।
জেল থেকে বেরনোর পরই নির্যাতিতা ওই মহিলার বাড়িতে হাজির হয় ওই যুবক। নানা অছিলায় ঘরে ঢুকেই তাঁকে ধর্ষণ করে। লালসার হাত থেকে মুক্তি পায়নি ওই মহিলার ১৪ বছরের মেয়েও। অভিযোগ, তাঁকেও যৌন নিগ্রহ করে অভিযুক্ত যুবক। পুলিশে অভিযোগ জানালে তাঁর মেয়েকে খুন করার হুমকিও দেয়।
৪৩ বছরের নির্যাতিতা মহিলা জানিয়েছেন, অভিযুক্ত যুবক তাঁর পূর্বপরিচিত, কিন্তু দীর্ঘদিন ধরেই কোনও যোগাযোগ ছিল না। গত ২৫ জানুয়ারি হঠাৎ ওই যুবক হঠাৎ তাঁর বাড়িতে হাজির হয়। সেই সময় বাড়িতে তিনি ও তাঁর ১৪ বছরের মেয়ে ছিলেন। প্রথমে যুবককে ঢুকতে দিতে বাধা দিলেও, নানা অছিলায় জোর করে ঘরে ঢুকে পড়ে। এরপরই তাঁর উপর চড়াও হয়। জোর করে ধর্ষণ করে। মাকে বাঁচাতে এলে ওই কিশোরীকেও যৌন নিগ্রহ করে অভিযুক্ত।
খুনের ভয় দেখিয়ে পুলিশে অভিযোগ জানাতে বারণ করেছিল অভিযুক্ত। পরে সাহস জুগিয়ে তিনি পুলিশে অভিযোগ জানান। এরপরই প্যারোলে মুক্তি পাওয়া ওই যুবককে আবার গ্রেফতার করে পুলিশ। ভারতীয় দণ্ডবিধির অধীনে ধর্ষণ ও পকসো আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে।