বালেশ্বর: ভয়াবহ দুর্ঘটনার কবলে হাওড়া-চেন্নাই করমণ্ডল এক্সপ্রেস (Coromandel Express)। বালেশ্বর স্টেশন (Baleswar) থেকে ৪০ কিলোমিটার দূরে বাহানাগা স্টেশনে লাইনচ্যুত হয়ে গিয়েছে কমপক্ষে ১৮টি কামরা। মালগাড়ির সঙ্গে ধাক্কা লেগে একেবারে ছিটকে গিয়েছে করমণ্ডল এক্সপ্রেসের একাধিক কামরা। মালগাড়ির উপরেও উঠে গিয়েছে করমণ্ডল এক্সপ্রেসের অনেকগুলি কামরা। তারপর উদ্ধারকাজ শুরু হতেই ভয়াবহ ছবি ক্রমশ প্রকাশ্যে আসতে শুরু করেছে। লাইনচ্যুত কামরার নীচে আটকে পড়েছেন একাধিক যাত্রী। স্থানীয় বাসিন্দারাই প্রথমে উদ্ধারকাজে হাত লাগান। বগির নীচে থেকে একাধিক বয়স্ক যাত্রীকে উদ্ধার করা হয়েছে। আরও অনেক যাত্রী বগির নীচে আটকে রয়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, আপ করমণ্ডল এক্সপ্রেসের ইঞ্জিনের পিছনে ৩টি জেনারেল কোচ, ৫টি স্লিপার কোচ, প্যান্ট্রি কার সহ একাধিক কামরা বেলাইন হয়ে গিয়েছে। জেনারেল কোচ, স্লিপার কোচগুলি একেবারে দুমড়ে-মুচড়ে গিয়েছে। জেনারেল কোচেই বেশি যাত্রী ছিল। দুর্ঘটনার সময় ট্রেনটির গতিবেগ অত্যন্ত বেশি ছিল। ফলে কতকগুলি কোচ একেবারে মালগাড়ির মাথায় উঠে যায়। স্থানীয়রা প্রথমে উদ্ধারকাজে হাত লাগালেও পরে রেল আধিকারিক, পুলিশ ও উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। সূত্রের খবর, ওড়িশা ফায়ার সার্ভিসের DG সুধাংশু সারেঙ্গীকে উদ্ধার অভিযানের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এছাড়া উদ্ধারকাজে নেমেছে ওড়িশা রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী এবং জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী (NDRF)।
করমণ্ডল এক্সপ্রেসটি করেই ভেলোরে চিকিৎসা করাতে যান বহু মানুষ। ট্রেনটি হাওড়ার শালিমার স্টেশন থেকে ছাড়ে। ফলে এই ট্রেনে রাজ্যেরও বহু মানুষ থাকেন। এদিনও তার ব্যতিক্রম ছিল না। এই করমণ্ডল এক্সপ্রেসে করে রাজ্যের বহু মানুষ ভেলোড়ে চিকিৎসার জন্য যাচ্ছিলেন। শিশু সহ প্রচুর বয়স্ক মানুষ ট্রেনে ছিলেন। ফলে মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই উদ্বেগ বাড়ছে।
রেল সূত্রে খবর, দুর্ঘটনাগ্রস্ত হাওড়া-চেন্নাই করমণ্ডল এক্সপ্রেসটির LHB কোচ ছিল। LHB কোচ দুর্ঘটনা কমায়। পুরোনো IFC কোচ হলে আরও বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারত এবং হতাহতের সংখ্যা বেড়ে যেত বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।